Facebook Bio Status

একসঙ্গে চার সন্তান জন্ম দিলেন গৃহবধূ


যশোরে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক মা। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে যশোর আদ্ দ্বীন সকিনা মেডিকেল হাসপাতালে সুমাইয়া আক্তার সুইটি ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে সন্তান প্রসব করেন। ছেলের নাম রাখা হয়েছে সিয়াম। তবে মেয়েদের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

সুমাইয়া চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার শুটিয়া গ্রামের মোদাচ্ছের আলী তরফদারের স্ত্রী। মোদাচ্ছের আলী পেশায় সিরামিক কোম্পানির মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ অফিসার। তিনি ও তার পরিবার একসঙ্গে চার সন্তান পেয়ে দারুণ খুশি।

সন্তানদের দাদা আব্দুর রাজ্জাক তরফদার বলেন, বিয়ের তিন বছর পর আমার ছেলের ঘরে একসঙ্গে চারটি সন্তান এসেছে। আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার হলেও অনেক আনন্দিত। আল্লাহ আমাদের চারটি সুস্থ নাতি-নাতনি দিয়েছেন, এর চেয়ে বড় খুশির খবর আর কী হতে পারে।

সন্তানের বাবা মোদাচ্ছের আলী তরফদার বলেন, আমার একসঙ্গে চারটা বাচ্চা হয়েছে। আমি ও আমার পরিবার খুশি। মধ্যবিত্ত পরিবার হওয়ায় কিছুটা ভাবতে হচ্ছে। তবে, আশা করি আমার সন্তানদের কোনো কষ্ট হবে না।

সন্তান জন্মের পর সুমাইয়া আক্তার সুইটি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আল্লাহ আমাদের পরিবারে একসঙ্গে চারটি সন্তান দিয়েছেন। আমি অনেক খুশি। অল্প বয়সে প্রথম মা হয়েছি। একজন মায়ের কাছে একটা সন্তান জন্ম দেওয়া যেমন আনন্দের, চারটা সন্তান জন্ম দেওয়াও তেমন আনন্দের। প্রথমে ভেবেছিলাম দুই সন্তান হবে, কিন্তু চারজন এসেছে। এটা সত্যিই আল্লাহর বিশেষ রহমত। আমার বাচ্চাদের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।

আদ্ দ্বীন সকিনা মেডিকেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স তাসলিমা খাতুন জানিয়েছেন, মা ও নবজাতকরা সুস্থ আছেন। বর্তমানে হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডে বাচ্চাদের রাখা হয়েছে।

হাসপাতালের চিকিৎসক মঞ্জুয়ারা খাতুন বলেন, নবজাতকদের শারীরিক অবস্থা ভালো রয়েছে। তবে চারটি সন্তান হওয়ায় মা ও শিশুদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হচ্ছে। অবাক করার বিষয় হলো, গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসোনোগ্রাফিতে মাত্র দুটি শিশু ধরা পড়েছিল। কিন্তু জন্মের সময় দেখা যায় মোট চারটি সন্তান হয়েছে। এমন ঘটনা বিরল হলেও অসম্ভব নয়।

মিলন রহমান/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

Back to top button