যুগের পর যুগ ধরে কর অব্যাহতি চলতে পারে না -বরিশালে এনবিআর চেয়ারম্যান

বরিশালে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, দেশ ও জাতীর উন্নয়নেই আমাদের কর দিতে হবে। আমাদের জিডিপি’র ৭-৮% কর আদায় হয়। এটা বৃদ্ধি করার কোনো বিকল্প নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার বরিশাল ক্লাবের গোলাম মাওলা মিলনায়তনে আগামী অর্থ বছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির ভাষণ এ কথা বলেন।
বরিশাল চেম্বার সভাপতি এবাদুল হক চান সহ বিভাগের বিভিন্ন জেলার চেম্বার ও মহিলা চেম্বার নেতৃবৃন্দও এ সভায় মতামত পেস করেন। সভায় এনবিআর-এর সদস্য ছাড়াও বরিশালের কর কমিশনার এবং খুলনা কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনরেটের কমিশনারগণও বক্তব্য রাখেন।
প্রাক-বাজেট এ আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব বলেন, যুগের পর যুগ ধরে কর অব্যাহতি চলতে পারে না। আমাদের এ সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমরা চাই আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আরো স্বাবলম্বী হোক। জাতীয় অর্থনীতিতে আরো বেশি অবদান রাখুক।
সভায় বরিশাল চেম্বার সভাপতি এবাদুল হক চান আয়কর এবং ভ্যাট ও আবগারী শুল্কের বিভিন্ন বিষয়ের জটিলতা তুলে ধরে নানা ধরনের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। সভায় বিড়ি শিল্প ও শ্রমিকদের স্বার্থে কর হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়। এমনকি বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুধুমাত্র ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট আদায়সহ এক্ষেত্রে নানা অনিয়মের বিষয়টিও তুলে ধরেন বক্তাগণ। পাশাপাশি পাসপোর্ট ফিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি ফি’র ওপর ভ্যাট আদায়কে অযৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেন সভায় অংশগ্রহণকারীগণ। অংশগ্রহণকারীগণ বরিশাল কর ভবন নির্মাণ ও বিভাগ প্রতিষ্ঠার ৩২ বছর পরেও ভ্যাট কমিশনারেট স্থাপন না হওয়ায় হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান এসব বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের পাশাপাশি করদাতাদের যৌক্তিক দাবি সমূহ মেনে নেয়াসহ সহনীয় একটি কর কাঠামো গড়ে তোলার কথাও জানান।
তিনি জানান, বর্তমানে সিগারেটের ওপর প্রায় ৮৩% কর থাকলেও বিড়ির ওপর তা ৫৬ ভাগ। বরিশাল কর ভবন নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি ভ্যাট কমিশনারেট স্থাপনের বিষয়েও নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি জানান, করদাতাদের হয়রানী বন্ধেই আগামী বছর থেকে আয়কর রিটার্ন অনলাইনে প্রদানের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।