অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ বিএনপি বিদ্বেষী : রিজভী

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ বিএনপি বিদ্বেষী বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বলেন, ড. ইউনূসের মত আন্তর্জাতিক সম্মানিত মানুষ আজকের সরকার প্রধান হয়েছেন, তার কাছ থেকে সব সময় দেশের মানুষ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আশা করে।
আমার মনে হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভেতরেও কিছু বিএনপি বিদ্বেষী উপদেষ্টা রয়েছে। বিএনপি যদি কারো নামে সুপারিশ করে তাহলে উনারা খুব বিব্রত এবং ঈর্ষান্বিত হন। ঈর্ষান্বিত হয়ে সেটাকে তারা বাইপাস করার চেষ্টা করে। বিএনপি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে দলটির এমপিসহ অনেকেই নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। এই গণতন্ত্রের লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়নের পতাকা বহন করতে গিয়ে যিনি নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেছেন তিনি বেগম খালেদা জিয়া, এটা তারা অনেকেই হয়তো ভ‚লে গেছেন। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) পল্লবীতে ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত থাকলে মব সংস্কৃতি তৈরি হতো না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকভাবে কাজ করছে না। এর ফলে ভয়ংকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। বিষয়টির দিকে সরকারের নজর দেয়া উচিত। সামাজিক অনাচার ভাঙার দায়িত্ব সরকারের।
তিনি বলেন, অনেকের রক্তের বিনিময়ে বর্তমান সরকার এসেছে। তাদের মধ্যে স্বৈরাচারের কোনো বৈশিষ্ট্য যাতে না থাকে। নির্বাচিত সংসদ সংস্কার কাজ সম্পন্ন করবে। কিন্তু এই সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় বিলম্ব করছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংকসহ অনেক ব্যাংক খালি করে দিয়েছিল শেখ হাসিনা। অবশেষে তাকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। তিনি মনে করেছিলেন তিনি যতই অন্যায় অত্যাচার করুক না কেন তার কিছুই হবে না। নিজের মতো করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাজিয়েছিলেন। তার পাশে আছে ভারত সেই ভারত তাকে প্রটেকশন দিবে সেই চিন্তা নিয়ে তিনি নিজেকে মনে করেছিলেন অমর। আল্লাহ যে একজন আছেন সেটা তিনি ভাবেননি। ভাবেননি বলেই তিনি নিজের দেশের মানুষের উপর অন্যায় অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছেন। মানুষকে দমন করতে গিয়ে রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করেছেন নির্বিচারে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের সময়ে মানুষ ঘরের দরজা খুলে ঘুমাতে পারতো। চাঁদাবাজি, রাহাজানি, ছিনতাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এসব অনেক কারণেই জিয়াউর রহমান আজও সকলের কাছে জনপ্রিয়। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করা, খাদ্যশস্য উৎপাদন করাসহ অনেক কাজ করেছেন। মানুষের জন্য ভাল কাজ করতে বেশি সময় লাগে না। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক সহ-অনেকেই।