Status

রামগতিতে পরিত্যক্ত জায়গায় আধুনিক খেলার মাঠ নির্মাণ প্রশাসনের

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পরিত্যক্ত জায়গায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আধুনিক খেলার মাঠ নির্মাণ করা হয়েছে। রামগতি পৌরসভার আলেকজান্ডার মডেল সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি স্কুল থেকে অনেকটা দূরে থাকায় দ্বীর্ঘদিন ধরে অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় আন্ত:জেলা বাস রাখার জায়গা, কখনো নদীর কাজের ঠিকাদারের ব্লক বানানোর স্থান আবার কখনো সড়কের ঠিকাদারদের মালামাল রাখার স্থান হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল।

 

আর তাতে পৌরসভার শিশু কিশোর ও শিক্ষার্থীরা মাঠ না থাকায় খেলাধুলার সুযোগ পাননি। অবশেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও সৈয়দ আমজাদ হোসেন সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে মাঠটিকে দখলমুক্ত করেন। মাঠ থেকে পাথর, ইটের খোয়া পরিষ্কার করে বালি ফেলে মাঠের উচ নিচু সমান করার ব্যবস্থা গ্রহন করেন। এরপর পৌরসভার অর্থায়নে মাঠের চারপাশে পাঁয়ে হাঁটার জন্য ওয়াকওয়ে নির্মাণ করেন।জনগুরুত্বপূর্ণ খেলার মাঠকে আধুনিকায়ন করে প্রভাতের শরীর চর্চার উত্তম স্থান হিসেবে গড়ে তুলেন। মাঠের দুই প্রান্তে দুটি গেট নির্মাণ করার ফলে বর্তমানে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত করা হয় ঐতিহ্যবাহী এ মাঠকে।

 

রামগতি পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার তহবিল হতে স্কুল মাঠের উন্নয়নে ২৮ লক্ষ ৫৩ হাজার ৯শত টাকা বরাদ্দ দিয়ে দরপত্র আহ্বান করলে কাজ পায় মেসার্স জোবায়দা ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ সালে কাজটি বাস্তবায়নের কথা থাকলেও নির্মাণ উপকরণের উর্ধ্বমূখী দর সহ নানা প্রতিবন্ধকতায় যথাসময়ে কাজটি শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পরে ইউএনও সৈয়দ আমজাদ হোসেনের হস্তক্ষেপে বর্তমানে কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

 

আলেকজান্ডার মডেল সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জীহাদ ও সাকিব সহ ৬ জন শিক্ষার্থী জানান, আমরা আগে পাথর ও ইটের কণার কারণে খেলাধুলা করতে মারাত্নক অসুবিধা হতো। উপজেলা প্রশাসন চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে দেয়াল নির্মাণ করায় এখন মাঠটি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। আমরা এখন প্রতিদিন মাঠে খেলাধুলা করতে পারবো। এজন্য উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

 

আলেকজান্ডার মডেল সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদরুল আলম বলেন, উপজেলা প্রশাসন বিভাগীয় কমিশনার স্যারের কাছ থেকে বরাদ্দ নিয়ে অনেকটা পরিত্যক্ত ময়লার ভাগাড়ের মত স্কুল মাঠকে খেলাধুলার উপযোগী করে তুলেন। ইউএনও  স্কুলের সভাপতি। তিনি স্বংশ্লিষ্ট সকলের সাথে পরামর্শ করে স্কুল মাঠের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছেন। এ জন্য আমরা স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞ।

 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার কথা চিন্তা করে স্কুলের মাঠটিতে পরিকল্পিত ওয়াকওয়ে, ফুল বাগান এবং চারপাশে সুরক্ষা দেয়াল দেয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং এলাকাবাসী খুশী। এ সকল উন্নয়ন কাজের কারণে শিশু-কিশোররা আরো নিরাপদে খেলাধুলা করতে পারবে।

Source link

Leave a Reply

Back to top button