Facebook Bio Status

ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আমাদের কাজ অব্যাহত আছে: চিফ প্রসিকিউটর


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা তথা মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তথা প্রসিকিউশন ও তদন্তসংস্থা দিনরাত কাজ করছে। তাদের কাজে কোনো গাফিলতি নেই।

তিনি বলেন, আমরা জাতির প্রতি, জনগণের প্রতি, ভুক্তভোগীদের প্রতি কমিটেড (প্রতিশ্রুতিবদ্ধ)- একটি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য। আমাদের কাজ অব্যাহত আছে। কাউকে হতাশ না হওয়ার জন্য অনুরোধ করবো।

বুধবার (৫ মার্চ) গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ৫ আগস্ট নিহত শিক্ষার্থী হৃদয় হোসেনের মামলায় পাঁচ পুলিশের বিষয়ে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, তাড়াহুড়া করে বিচারে করে যদি আমরা কোনো ত্রুটি করি তাহলে প্রতিপক্ষ এটার সুযোগ নেবে। ন্যায়বিচার পরাহত হতে পারে। আমাদের সবকিছু দেখতে হবে। আমরা চাইবো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার যতটুকু সময় দরকার ততটুকু সময় নেবো।

এর আগে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক রাইট টু ফ্রিডমের প্রতিনিধিরা। বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম ও বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন কূটনীতিক জন ড্যানি লোভিস ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে বৈঠক করেন।

এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক রাইট টু ফ্রিডমের প্রতিনিধিরা সাক্ষাৎ করেছেন। প্রতিনিধিরা ট্রাইব্যুনালে বিচারের বিষয় জানার জন্য এসেছিলেন। জুলাই-আগস্টে যে গণহত্যা হয়েছে এবং গত ১৫ বছরে গুম-খুনের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। এ বিষয়ে তারা আগের থেকে বক্তব্য দিয়ে এসেছেন। তারা এই বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি ও বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যা আছে কি না- সব বিষয়ে আমাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, তারা বলেছেন তাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব তারা বাংলাদেশে এই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে চান। তাদের দিক থেকে যা পরামর্শ প্রয়োজন তা তারা প্রদান করবেন।

তিনি বলেন, প্রতিনিধিরা বলেছেন, আমরা কারও পক্ষে নই, তবে আমরা চাই মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত হোক। বিশেষ করে জুলাই-আগস্টে বা বিগত সরকারের আমলে যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা ঘটেছে, তারা মনে করেন বাংলাদেশ সরকারের উচিত এর সঠিক বিচারের মাধ্যমে চিরতরে ভবিষ্যতে যেন এমন অপরাধ আর সংঘটিত না হয়, এমন আশা ব্যক্ত করেছেন। পাশাপাশি সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা আমাদের নানা ধরনের তথ্য দিয়ে বিশেষ করে তারা এই প্রক্রিয়া সম্পার্কে গভীরভাবে জানতে চান। যেসব অপতথ্য চড়ানো হয়। সেগুলোর ব্যাপারে তারা সহায়তা করতে পারেন। আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি কীভাবে তারা সহায়তা করতে পারেন। তারা বলেছেন, তারা যেহেতু থিংক ট্যাঙ্ক আমরা তথ্য সংগ্রহ করার জনমত তৈরির ক্ষেত্রে যেমন বিচার কেন প্রয়োজন। এবং এই বিচারের ব্যাপারে যেসব অপতথ্য ছড়ানো হয় সে ব্যাপরে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গ্রাউন্ডে যেসব বাস্তবতা আছে সেটার বাইরে নানা ধরনের প্রপাগান্ডা ছড়ানো হয়। তাদের যেহেতু দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে কাজ করার। তারা বলেছেন এইগুলোর ব্যাপারেও তারা সহয়াতা কতরতে পারেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আশা করছি খুবদ্রুত কিছু রিপোর্ট আমরা পেয়ে যাবো। যখনই পাবো তখন আপনাদের জানিয়ে দেবো। প্রসিকিউশন ও তদন্তসংস্থা দিনরাত কাজ করছে। কোনো প্রকার গাফিলতি নেই। আমরা জাতির প্রতি জনগণের প্রতি, ভিক্টিমদের প্রতি কমিটেড। একটি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য। আমাদের কাজ অব্যাহত আছে। কাউকে হতাশ না হওয়ার জন্য অনুরোধ করবো।

এফএইচ/বিএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

Back to top button