Status

বাড়ছে ক্রিকেটারদের বেতন-ম্যাচ ফি

ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

অন্যান্য ক্রিকেটারদের চেয়ে কিছুটা বেশি পাবেন টেস্টের খেলোয়াড়রা। সোমবার বিসিবির সভায় এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে টি-টোয়েন্টির জন্য ম্যাচ ফি ২ লাখ টাকা, ওয়ানডের জন্য ৩ লাখ টাকা এবং টেস্টে ৬ লাখ টাকা পান ক্রিকেটাররা।

গত বছর ম্যাচ ফি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তবে পারফরমেন্স বোনাস যোগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মোট ২১ জন ক্রিকেটারকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাদের পারিশ্রমিক প্রকাশ করেনি বিসিবি।

বিসিবির সভায় এ বছর কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় চুড়ান্ত করা হয়েছে। কারা থাকবেন তাদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে, চুক্তিতে কতজন খেলোয়াড়কে রাখা হবে তা জানায়নি বিসিবি।

বোর্ড সভার পর বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কতজন খেলোয়াড় থাকবে একটি সংখ্যা নির্ধারিত আছে। তবে এই মুহূর্তে আমি তা প্রকাশ করতে চাই না কারণ পর্যালোচনার পর সংখ্যাটি বাড়তে বা কমতে পারে। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি এটি অনুমোদিত হয়েছে।’

একই সাথে, ফাহিম ক্রিকেটারদের বেতন এবং ম্যাচ ফি বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বেতন বাড়ছে, ম্যাচ ফিও বাড়ছে।’

তিনি আরও জানান, অন্যদের তুলনায় টেস্ট ক্রিকেটারদের একটু বেশি আছে। তিনি ফাহিম বলেন, ‘আমরা এর মাধ্যমে তাদের আগ্রহ ধরে রাখতে চাই। চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটাররা এই বছরের জানুয়ারি থেকে বর্ধিত বেতন পাবেন।’

২০২৫ সালের জন্য ১০০ জন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটারের বেতন অনুমোদন করেছে বোর্ড।

জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের পারফরমেন্সে সন্তুষ্ট বিসিবি। প্রধান কোচ ফিল সিমন্স এবং সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের চুক্তি চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত আছে।

ফাহিম জানান, তাদের চুক্তি নবায়নে আগ্রহী বিসিবি।

তিনি বলেন, ‘যারা আমাদের সাথে আছে (কোচরা) তাদের নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। তাদের সাথে আমরা আবার যোগাযোগ করব। যদি আমরা কোন ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারি, তাহলে বাইরে থেকে কাউকে আমাদের খুঁজতে হবে।’

ফাহিম আরও বলেন, ‘তবে, আমরা আশা করি আমাদের সাথে যারা ছিলেন তাদের সাথে সন্তোষজনক আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছাতে কোনও সমস্যা হবে না।’

তিনি আরও জানান, একজন ভাল মানের ফিল্ডিং কোচও খুঁজছে বিসিবি।

জাতীয় দলের নির্বাচক হান্নান সরকারের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে বোর্ড। কোচিং ক্যারিয়ারে মনোনিবেশ করার জন্য পদত্যাগ করেছিলেন হান্নান।

গাজী আশরাফ হোসেন এবং আব্দুর রাজ্জাকের সাথে তৃতীয় নির্বাচকের খোঁজ শুরু করেছে বিসিবি।

১৮তম বোর্ড সভায় ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এবং ট্রাস্টি সদস্যদের গঠন অনুমোদন করেছে বিসিবি।

ছয় মাসের জন্য জাতীয় নারী দলের স্ট্রেংথ এন্ড কন্ডিশনিং কোচ হিসেবে সাবেক জাতীয় ক্রীড়াবিদ এবং অলিম্পিয়ান ফৌজিয়া হুদা জুঁইকে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে বোর্ড।

পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, যা বর্তমানে চলমান প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে জাতীয় ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এনসিজি) রাখা হয়েছে।

Source link

Leave a Reply

Back to top button