আলু নিয়ে বিপাকে সৈয়দপুরের কৃষক, মহাসড়কে যানজট

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় আলু আবাদ করে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। হিমাগারে আলু সংরক্ষণ নিয়ে তাদের নাজেহাল অবস্থা। হিমাগার কখনও বন্ধ আবার কখনও চালু করায় এবং আগাম সিøপ দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে হিমাগারে রাখতে না পারায় সৈয়দপুর-রংপুর মহাসড়কের পাশে এলোমেলো ভাবে আলুর বস্তা ফেলে রাখায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এতে করে যানবাহন চলাচলসহ পথচারীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।
সৈয়দপুরে হিমাগার রয়েছে তিনটি। এগুলো হচ্ছে, নর্দান কোল্ড স্টোরেজ, সাজেদা কোল্ড স্টোরেজ ও ইসমাঈল বীজ হিমাগার। এসব হিমাগারে সৈয়দপুরসহ আশেপাশের তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, খানসামা ও চিরির বন্দর এলাকার কৃষক ও পাইকার এবং ব্যবসায়ীরা আলু সংরক্ষণ করে থাকেন। এসব হিমাগার সৈয়দপুর-রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে হওয়ায় ট্রাক, ভ্যানে কৃষকরা আলু নিয়ে এসে না রাখতে পারায় মহাসড়কে দীর্ঘ সারি তৈরি হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
হিমাগার কর্তৃপক্ষ আগের আলু রাখার পরে নতুন করে আলু হিমাগারে নেবেন। এজন্য অনেকের আলুর বস্তাও ফেরত পাঠাচ্ছেন। কিন্ত কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তা মানতে নারাজ। ফলে যত্রতত্র আলুর বস্তা ফেলে রাখায় চলাচলে বিঘœ ঘটছে। অতি প্রয়োজনীয় যানবাহন এই সড়কে চলাচল করলেও বাকি যানবাহন বিকল্প সড়কে চলাচল করছে।
উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের আলুচাষি আমিমুল রেহসান জানান, এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছর আলুর দাম ভালো পাওয়ায় এবার বেশি জমিতে আলু লাগিয়েছি। ১১০ টাকা কেজি দরে বীজ আলু কিনে আবাদ করার পর সেই আলু এবার মাত্র ১৩ থেকে ১৪ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে হিমাগারে আলু রাখার জন্য নিয়ে এসেছি। কিন্তু সেখানেও জায়গা মিলছে না কৃষকের আবাদি আলুর। গতকাল সোমবার দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার বড হাশিমপুর থেকে আসা আলুচাষি মালেক বলেন আলু হিমাগারে রাখতে না পাড়ায় আলু আগুনে পুড়ে ফেলবো আর আলু আবাদ করবোনা।