তেঁতুলিয়া ও টাঙ্গাইলে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় ৫ ডাকাত আটক

আটককৃতরা হলেন,রংপুর জেলার আব্দুল আজিজের ছেলে মো.আনোয়ার হোসেন (৪১), আব্দুল জলিলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫), বাদশা ফকিরের ছেলে মো.হাসানুর,আব্দুল জব্বারের ছেলে মো.আয়নাল এবং দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর এলাকার রিয়াজউদ্দিনের ছেলে তহিদুল ইসলাম (৪০)।
সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুনশী।
বিফ্রিংয়ে তিনি বলেন,গত ২৫ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে স্কুল বাসে ডাকাতির পর সারা বাংলাদেশে পুলিশ ডাকাতদের ধরতে অভিযান শুরু করেন।
এরই সুত্রে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের একটি দল ডাকাতদের অবস্থান নিশ্চিত করতে রংপুরে আসেন।একপর্যায়ে ডাকাত দলের অবস্থান পঞ্চগড়ের ভজনপুরে দেখা যায়।পরে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ,পঞ্চগড় জেলা পুলিশকে বিষয়টি জানায়।খবর পেয়ে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ অভিযান তল্লাশী শুরু করে।রাতেই খবর পাওয়া যায় তেঁতুলিয়ার অজিজনগড় এলাকায় বেলায়েত মাস্টারের বাড়িতে ডাকাতি হচ্ছে।পরে তেঁতুলিয়ায় একদিকে গ্রামগুলোতে তল্লাশী অপরদিকে সড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশী চালানো হয়। এদিকে রোববার সকালে তেঁতুলিয়া থেকে ভজনপুর দিয়ে বাসযোগে ডাকাতরা পালানোর সময় ভজনপুর চেক পোস্টে বাস থামিয়ে তল্লাশী করলে পাঁচজন ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এ সময় আনোয়ার হোসেন আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য এবং ডাকাতদের পরিবহন করেন তিনি। এসময় ডাকাতদের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা সহ সোনা রুপার স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি। এসময় পুলিশ সুপার বলেন স্থানীয় কেউ জড়িত আছে কিনা বা ডাকাত দলের আরও কোন সদস্য পঞ্চগড়ে লুকিয়ে আছে কিনা এসব নিয়ে তদন্ত চলছে।