পুলিশের সোর্স ভেবে ইউপি সদস্য ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম

যৌথবাহিনীর অভিযানের পর কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পুলিশের সোর্স ভেবে ইউপি সদস্য ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক মাদক কারবারির বিরুদ্ধে।
রোববার (২মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার নাজিমখাঁন ইউনিয়নের রামকৃষ্ণ বারোসুধাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিজাম উদ্দিন রামকৃষ্ণ বারোসুধাই গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আহত ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী জবা বেগম রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। মাইদুল উপজেলার নাজিমখাঁন ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত শনিবার রাতে যৌথবাহিনী নাজিমখাঁন ইউনিয়নের রামকৃষ্ণ গ্রামের কয়েকজন মাদক কারবারির বাড়িতে অভিযান চালায়। এরমধ্যে ইয়াবা ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিনের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। যৌথবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে নিজাম সটকে পড়েন। অভিযানে ৯২১ গ্রাম গাঁজা এবং ১৫ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
পরদিন রোববার বিকেলে ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম মাদক ব্যবসায়ী নিজামের বাড়ির সামন দিয়ে যাওয়ার পথে তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে নিজাম। খবর পেয়ে মাইদুলের স্ত্রী জবা বেগম স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্থানীয়রা জানান, মাদক ব্যবসায়ী নিজামের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তার ভাই পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় সেই প্রভাব দেখিয়ে দীর্ঘদিন এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছেন।
ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলামের ছেলে জিয়ন মিয়া বলেন, ‘বাবা আসরের নামাজ পড়ে ইফতার কেনার জন্য বাজারে যাওয়ার পথে হামলা করে নিজাম। খবর পেয়ে মা ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। নিজামের ধারণা শনিবার রাতে যৌথবাহিনী যে অভিযান চালিয়েছে সেটিতে বাবার ইন্ধন আছে। কিন্তু আমরা এসবের কিছুই জানি না।’
রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তছলিম উদ্দিন বলেন, ‘কুপিয়ে আহত করার ঘটনা শুনেছি। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এমএন/জিকেএস