Facebook Bio Status

চোর সন্দেহে ধাওয়া করে ধরে চোখ তুলে নিলো গ্রামবাসী


ভোলায় চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় মো. শাহজাহান মিন্টিজ (৪০) নামে একজনকে চোর সন্দেহে ধরে হাত-পা ভেঙে চোখ তুলে নিয়েছে গ্রামবাসী। রোববার (২ মার্চ) সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মো. শাহজাহান মিন্টিজ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানা এলাকার নজরুল নগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চর আরকলমী গ্রামের মো. ছিডু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন চোর বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, শাহজাহান মিন্টিজ একজন পেশাদার চোর। তিনি কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। জেল থেকে বের হয়ে আবার চুরি করেন। তার বাবাও চোর ছিলেন।

তারা আরও জানান, গত বেশ কিছু দিন ধরে নজরুল নগরসহ আশপাশে কয়েকটি ইউনিয়নে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শাহজাহান মিন্টিজের ওপর গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়। রোববার গ্রামবাসী তাকে তার বাড়িতে দেখতে পেয়ে ধাওয়া করলে দৌড়ে গ্রামের জাহাঙ্গীর ফরাজীর বাড়িতে আশ্রয় নিতে গেলে আটক করেন। পরে তাকে পাশের বারেক ফরাজী বাড়ির পুকুর পাড়ে এনে গণপিটুনি দেন। এসময় তার চোখ তুলে সেখানে ফেলে গ্রামবাসী চলে যান। পরে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সোরহাব হোসেনের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন।

তবে শাহজাহান মিন্টিজের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের অভিযোগ, তার স্বামীকে সন্দেহজনকভাবে গ্রামবাসী তাদের বসতঘরে এসে ধাওয়া করেন। তাকে ধরে মারধর করে হাত-পা ভেঙে চাকু দিয়ে চোখ তুলে দেয়। তিনি ওই সময় উপস্থিত থাকলেও গ্রামবাসীর ভয়ে তাকে বাঁচাতে সাহস পাননি।

চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন জানান, ওই ব্যক্তিকে হাত পা ভাঙা ও চোখ তোলা অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।

দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এরশাদুল হক ভূঁইয়া বলেন, ঘটনাটি লোকমুখে শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পরে জানতে পেরেছি শাহজাহান মিন্টিজ নামে একজনকে চুরির অভিযোগে গ্রামবাসী গণপিটুনি দিয়ে হাত-পা ভেঙে চোখ তুলে নিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।

জুয়েল সাহা বিকাশ/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

Back to top button