শরীয়তপুরে ডাকাতির ঘটনায় ২ মামলা

শরীয়তপুরে ডাকাতি ও ডাকাতদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পালং মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে পালং মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দুটি দায়ের করেছেন। মামলায় গণপিটুনীতে আহত ৫ ডাকাতের নাম উল্লেখসহ আরো ৮ থেকে ১০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- মুন্সীগঞ্জের কালিয়ারচরের রিপন (৪০), বাংলাবাজার এলাকার রাকিব গাজী (৩০), শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুন্ডরচরের আনোয়ার দেওয়ান (৫০), নড়িয়া উপজেলার নশাসনের মাঝিকান্দি গ্রামের সাঈদ (২৫) ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুরের সজীব (৩০)। উক্ত আসামিদের মধ্যে চারজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি কার্তুজ ও একটি স্পীডবোট উদ্ধার করেছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. মিতু আক্তার বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল থেকে ফিরিয়ে আনা চারজনকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এদিকে রোববার দুপুরে শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিদ্যাবাগিস গ্রামের ব্রিজের নীচে কীর্তিনাশা নদীতে এক ডাকাতের লাশ ভেসে ওঠেছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি লাশের ছবি ভাসতে দেখা গেছে। এদিকে ডাকাতের লাশ বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা।
পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ডাকাতি, অস্ত্র উদ্ধার ও গণপিটুনীর ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে। যেহেতু তিন জনের মৃত্যু হয়েছে, তাই হত্যা মামলারও প্রস্তুতি চলছে। নিহতদের লাশ আইনগত প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।