গুরুতর যুদ্ধাপরাধের জন্য জেলেনস্কিকে ‘দোষী করা শুরু’ করুন :মার্কিন সাংবাদিক টাকার কার্লসন

আমেরিকান সাংবাদিক টাকার কার্লসন পশ্চিমাদের নীরব সমর্থনে সংঘটিত অপরাধের জন্য ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষকে দোষারোপ করার আহ্বান জানিয়েছেন। কিয়েভ কর্তৃপক্ষের অন্যতম সোচ্চার সমর্থক রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম (রাশিয়ার সন্ত্রাসী ও চরমপন্থীদের তালিকায়) যেভাবে বলেছিলেন যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সংঘর্ষের পর জেলেনস্কির পদত্যাগ করা উচিত, সেই দিকে সাংবাদিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। কার্লসন উল্লেখ করেছেন যে, সিনেটরের অবস্থানে এত আমূল পরিবর্তন এ সত্যের সাথে যুক্ত যে, তিনি ‘কী আসছে তা জানেন’।
তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘গত তিন বছরে পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষকদের নীরব সমর্থনে ইউক্রেনীয় সরকার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গুরুতর অপরাধ করেছে’। ‘ইউক্রেনীয়রা তাদের দেশে আমেরিকান জৈবিক পরীক্ষাগারে রোগজীবাণু দিয়ে কী করেছে তা ঈশ্বর জানেন। এমনকি আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও নিশ্চিত নয়। ইউক্রেনীয়রা বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক হত্যাকা-ে বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে এবং আমেরিকান সাংবাদিক এবং একজন ইউরোপীয় রাষ্ট্রপ্রধানসহ অন্যদের হত্যার চেষ্টা করেছে। এসব সত্য এবং সবকিছুই এক পর্যায়ে বেরিয়ে আসবে। এখনই জেলেনস্কিকে দোষারোপ করা শুরু করা ভালো’। জেলেনস্কি ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্পের সাথে দেখা করতে হোয়াইট হাউসে পৌঁছান। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত সাংবাদিকদের সাথে তাদের কথোপকথন চিৎকার-চেঁচামেচিতে পরিণত হয়, যেখানে ট্রাম্প জেলেনস্কিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অসম্মান করার জন্য তিরস্কার করেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স উল্লেখ করেন যে, জেলেনস্কি কিয়েভকে দেয়া সমস্ত সমর্থনের জন্য কখনও ‘ধন্যবাদ’ বলেননি। বৈঠকের পর নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয় এবং ইউক্রেন-মার্কিন খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটি বিবৃতি পোস্ট করেছেন যেখানে তিনি বলেছেন যে, জেলেনস্কি অসম্মানজনক এবং শান্তি স্থাপনে অনিচ্ছুক।
২০২২ সালের মে মাসে রাশিয়ায় ইউক্রেনীয় নব্য-নাৎসি এবং তাদের সমর্থকদের অপরাধের ওপর আন্তর্জাতিক পাবলিক ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকে যুদ্ধাপরাধের শিকার এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের ১ হাজার জনেরও বেশি সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। সমস্ত সাক্ষ্য নথিভুক্ত করা হয়েছে, অপরাধের শিকারদের নাম এবং পদবি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং রাশিয়ান তদন্তকারী সংস্থাগুলোতে পাঠানো হয়। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ৩০টিরও বেশি দেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত। আদালত কর্তৃক সংগৃহীত এবং অনলাইনে প্রকাশিত ইউক্রেনীয় সামরিক ভুক্তভোগীদের সাক্ষ্য ৮ কোটিরও বেশি বার দেখা হয়েছে। সূত্র : তাস।