ওষুধ সংকটে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

মানিকগঞ্জের সবচেয়ে বড় সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান মানিকগঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে বিপাকে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে গিয়ে মোটা অংকের টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
৫০০ শয্যা এ হাসপাতালে মানিকগঞ্জ জেলার সাত উপজেলাসহ পাশের জেলা ফরিদপুর ও টাঙ্গাইল থেকেও চিকিৎসা নিতে আসেন রোগীরা। তৃণমূলের গরিব ও অসহায় রোগীদের ভরসাস্থল এ হাসপাতাল।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, দরপত্র জটিলতায় কিছু সংকট দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি বিপুল পরিমাণ ওষুধ কেনা হয়েছে। শিগগির এ সংকট কাটিয়ে ওঠা যাবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ-৩ (সদর ও সাটুরিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদ মালেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে তার বাবা প্রয়াত এম এ কর্নেল মালেকের (কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ) নামে হাসপাতালটি গড়ে তোলেন। সম্প্রতি সরকার এর নাম পরিবর্তন করে রাখে ‘মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল’। প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রায় এক হাজার রোগী টিকিটের মাধ্যমে চিকিৎসা নিলেও ইনডোরে শতাধিক রোগী ভর্তি থাকছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা নুর ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম এলাকা থেকে এই হাসপাতালে এসেছি। চিকিৎসক দুটি ওষুধ লিখে দিয়েছেন। কিন্তু এখান থেকে মাত্র একটি ওষুধ দিয়ে বলেছে, আর নেই।’
শিবালয় উপজেলার শরিফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি মহাদেবপুর থেকে এসেছি চর্মরোগের চিকিৎসার জন্য। এখানে আসার পর চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনে পাঁচটি ওষুধ লিখেছেন। এখানে থেকে আমাকে দুটি ওষুধ দিয়েছে। বাকি তিনটা পাইনি।’
ভাতিজাকে নিয়ে তিন দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন সুমি আক্তার। তার ভাতিজার পেটে ব্যথা। সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে জানিয়ে সুমি আক্তার বলেন, ‘সামান্য পেটে ব্যথার ওষুধও নেই হাসপাতালে। সরকারি হাসপাতালে এসে কী হবে যদি সব ওষুধ কিনে আনতে হয়।’
এ বিষয়ে ফার্মেসি বিভাগের ইনচার্জ ফার্মাসিস্ট মো. খোরশেদ আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাকে স্যারেরা কথা বলতে নিষেধ করেছেন। তবে তেমন সংকট নেই। ৮০ ধরনের ওষুধ থাকার কথা, বেশিরভাগই আছে। ওষুধ কেনার জন্য দরপত্র দেওয়া হয়েছে।’
মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সম্প্রতি ওষুধ কেনা হয়েছে। শিগগির সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা রাখি।
সজল আলী/এসআর/জিকেএস