পাবনায় সড়কে গণডাকাতি

পাবনার সাঁথিয়ায় সড়কে গাছ ফেলে বাস-ট্রাকসহ প্রায় ৩০টি গাড়িতে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ২টার দিকে পাবনা-সাঁথিয়া মহাসড়কের তলট আঞ্চলিক সড়কে এ ঘটনা ঘটে। সাঁথিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান এবং মাধপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাতে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রথমে একটি পণ্যবাহী ট্রাক আটকে দেয় ডাকাতদল। এতে সড়কের উভয়দিকে বাস ট্রাক, প্রাইভেটকার, সিএনজি ও মাইক্রোবাস আটকে পড়ে। এ সময় ৪০ থেকে ৫০ জনের ডাকাতদল রামদা, হাসুয়া, ধারালো ছুরিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আটকে পড়া অন্তত ৩০টি গাড়িতে হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কমপক্ষে এক ঘণ্টা ধরে ডাকাতরা এসব গাড়িতে তা-ব চালিয়েছে। গাড়ির গেট খুলতে দেরি করায় বেশ কয়েকটি গাড়ির দরজা-জানালা ভাঙচুর করা হয়েছে। বাধা দেওয়ায় ডাকাতের আক্রমণে যাত্রী এবং পরিবহণ শ্রমিকসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। গাড়িতে থাকা লোকদের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। পরে পুলিশ আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যায় তারা। ডাকাতির কবলে পড়া আব্দুস সালাম নামের এক ইসলামী বক্তা তার ফেসবুকে দেওয়া ভিডিওতে ডাকাতির বর্ণনা দিয়ে বলেন, সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা গাড়িতে ঢুকে ড্রাইভারের গলা ও পেটে চাকু ধরে। যাত্রীদেরও জিম্মি করে সব লুট করে নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, একটি মাইক্রোবাসে করে দেশে ফিরছিলেন এক প্রবাসী। ওই গাড়িতে আক্রমণ করে কয়েকজনকে মারধর করে সব নিয়ে গেছে। একইভাবে সব গাড়িতে পর্যায়ক্রমে ডাকাতি চালায়। গাড়ি ভাঙচুর ও অনেককেই মারধর করেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবু বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো বিস্তারিত জানি না।

তবে ওই রাস্তাটি খুব বেশি ব্যস্ত না হলেও বেড়া-বাঘাবাড়ি হয়ে ঢাকায় যাবার জন্য বেশকিছু গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে যায়। এটি ডাকাতরা জেনেই গাছ ফেলে ডাকাতি করেছে।সাঁথিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান ডাকাতির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়। তবে কতটি গাড়িতে ডাকাতি হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারব না। আমরা ডাকাতদের আটক করতে মাঠে কাজ করছি।