Status

রমজানে আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলের নতুন বিধিনিষেধ, ফিলিস্তিনের উদ্বেগ

পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে আল-আকসা মসজিদে নতুন নিরাপত্তা বিধিনিষেধ আরোপ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। ফিলিস্তিনের গির্জা কমিটি এবং প্রেসিডেন্সি দাবি করেছে, ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে মসজিদটিকে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তারা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

 

রমজান উপলক্ষে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ নতুন বিধিনিষেধ জারি করেছে, যার ফলে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম থেকে ফিলিস্তিনিদের আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে। ইসরায়েলি বাহিনী দৈনিক ৩,০০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করবে এবং শুধুমাত্র নির্দিষ্ট বয়সসীমার পুরুষ ও নারীকে মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এমনকি সম্প্রতি কারামুক্ত হওয়া ফিলিস্তিনিদের আল-আকসায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

 

ফিলিস্তিনের উচ্চতর গির্জা কমিটি এই সিদ্ধান্তকে ইসরায়েলের দখলদার নীতির অংশ হিসেবে দেখছে। তারা বলছে, এই পদক্ষেপ আল-আকসা মসজিদকে ফিলিস্তিনি সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা এবং জেরুজালেমকে সম্পূর্ণ ইহুদি রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনার অংশ। কমিটি আরব ও মুসলিম বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ প্রতিরোধের জন্য জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

 

ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম কেএএন (KAN জানিয়েছে, এবছর রমজানে মাত্র ১০,০০০ ফিলিস্তিনিকে মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট বয়সের নীচে থাকা পুরুষ ও নারীরা অনুমতি পাবেন না। এর ফলে বহু ফিলিস্তিনি তাদের ধর্মীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

আল-আকসা মসজিদ ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্র স্থান, যেখানে মুসলমানরা নামাজ আদায়ের জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে আসছে। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে এবং ১৯৮০ সালে পুরো শহরকে নিজেদের অংশ ঘোষণা করে, যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়নি। আন্তর্জাতিক আদালতও ইসরায়েলের এই দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করেছে।

 

ফিলিস্তিনি জনগণ ও মুসলিম বিশ্ব এই নিষেধাজ্ঞাকে ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন বলে মনে করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংস্থা ইসরায়েলকে এই পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইসরায়েল তাদের নিরাপত্তা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে কঠোর নীতিগুলো বজায় রেখেছে, যা ভবিষ্যতে আরও উত্তেজনার কারণ হতে পারে। তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

 

Source link

Leave a Reply

Back to top button