Facebook Bio Status

হোয়াইট হাউজে বৈঠকের আগে জেলেনস্কির প্রশংসায় ট্রাম্প


যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আজ আলোচনায় বসবেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই নেতার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হলেও নিজেদের মধ্যে বৈঠকের আগে জেলেনস্কির প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, জেলেনস্কির প্রতি তার ‌‘অনেক সম্মান’ আছে।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকার বিষয়ক চুক্তির বিষয়ে আজ দুই দেশের প্রেসিডেন্টের হোয়াইট হাউজে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বিবিসির পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, সম্প্রতি জেলেনস্কিকে তিনি ‘স্বৈরশাসক’ বলার কারণে তিনি ক্ষমা চাইবেন কি না।

এর উত্তরে তিনি বলেন যে, তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না যে তিনি এমন কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে তিনি জেলেনস্কিকে ‘খুব সাহসী’ বলেও অভিহিত করেন।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা করার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব বলছিলেন। তিনি আশা করছেন যে ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তার আসন্ন বৈঠক খুব ভালো হবে এবং এ বিষয়ে তিনি বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের তিন বছরেরও বেশি সময় পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সর্বপ্রথম মস্কোর বৈঠক হয়েছে। এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন তার পশ্চিমা মিত্রদের বিস্মিত করেছে।

আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জেলেনস্কিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য দায়ী করে বলেছিলেন, আপনি তিন বছর ধরে সেখানে আছেন। আপনার এটি শেষ করা উচিত ছিল… এটি শুরুই করা উচিত হয়নি। আপনি একটি চুক্তি করতে পারতেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে আলোচনার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সাংবাদিকরা জেলেনস্কির সঙ্গে আসন্ন বৈঠকের বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তখন তিনি বলেন, আমার ধারণা আগামীকাল আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হবে।

সে সময় তাকে বিবিসির সংবাদদাতা ক্রিস ম্যাসন জিজ্ঞাসা করেন যে, তিনি এখনও ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরশাসক’ মনে করেন কি না। উত্তরে তিনি বলেন, আমি সেটা বলেছিলাম? আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না সেটা।

এদিকে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আশা করছেন শুক্রবারের বৈঠক থেকে তিনি ইউক্রেনের নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চয়তা পাবেন এবং এই বৈঠক সম্ভাব্য শান্তি চুক্তিরও ভিত্তি হতে পারে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি অনেক বিষয়ে উদার। কিন্তু তিনি চান, কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নির্ধারিত হওয়ার আগে রাশিয়া এবং ইউক্রেন একটি চুক্তির বিষয়ে সম্মত হোক।

জেলেনস্কি আজ যুক্তরাষ্ট্রকে ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার দেওয়া বিষয়ক একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ইউক্রেনে মার্কিন খনির কার্যক্রম রাশিয়ার ভবিষ্যৎ আক্রমণ থেকে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে।

বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আপনি বলতে পারেন যে এটি একটি ব্যাকস্টপ। আমরা যদি সেখানে আমাদের কর্মীদের নিয়ে থাকি এবং আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজনীয় বিরল খনিজ ও অন্যান্য জিনিস নিয়ে কাজ করি, আমার মনে হয় না যে সেখানে কেউ আক্রমণ করবে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এর আগে বলেছেন যে যুদ্ধ শেষ হলে শান্তিরক্ষী বাহিনীর অংশ হিসেবে ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাতে যুক্তরাজ্য প্রস্তুত। তবে সেটি তখনই পাঠাতে পারবে, যদি বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান সদস্য যুক্তরাষ্ট্র সেখানে প্রয়োজনীয় সমর্থন প্রদান করে।

রাশিয়া যদি ব্রিটিশ সেনাদেরকে আক্রমণ করে, সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্রিটিশদের সৈন্যরা অসাধারণ। তাদের অসাধারণ সামরিক বাহিনী রয়েছে। তারা নিজেদেরকে রক্ষা করতে সক্ষম। কিন্তু তারা সাহায্য চাইলে আমি করবো, ঠিক আছে?

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

Leave a Reply

Back to top button