অস্ট্রেলিয়ার দোরাডো ও পাও ভেল বাংলাদেশের হাতিয়া সাব-বেসিনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ: জ্বালানি বিশেষজ্ঞ স্টিফেন মলিনিউ

আজ রাজধানীর বারিধারায় অলাভজনক সংস্থা সাউথ ইস্ট এশিয়া পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন সোসাইটি (SEAPEX), কসমস গ্রুপ এবং ক্রিসএনার্জি (KRISENERGY)-এর যৌথ পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ সেমিনার। যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান জ্বালানি বিশেষজ্ঞ স্টিফেন মলিনিউ। সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন কসমস গ্রুপের ডিএমডি মাসুদ খান এবং ক্রিসএনার্জি বাংলাদেশের জেনারেল ম্যানেজার এডউইন বোলস।
স্টিফেন মলিনিউ, যিনি ওয়ারেগো এনার্জি লিমিটেডের পেট্রোলিয়াম ভূবিজ্ঞানী এবং অনুসন্ধান ব্যবস্থাপক বলেন যে, দোরাডো ও পাও ভেল এবং বাংলাদেশের হাতিয়া সাব-বেসিন একই ধরনের অবক্ষেপণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত হয়েছে এবং তেল ও গ্যাসের জন্য অনুরূপ শিলা উৎস রয়েছে।
প্রধান অতিথি, দোরাডো এবং পাও ভেলের জ্বালানি বিশেষজ্ঞ স্টিফেন মলিনিউ এসময় আরও বলেছেন যে, এই দুটি ক্ষেত্র বাংলাদেশের হাতিয়া সাব-বেসিনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়ার দুটি ক্ষেত্রের বিশ্লেষিত তথ্য এবং হাতিয়া সাব-বেসিনের অবস্থা নিয়ে একটি উপস্থাপনা প্রদানকালে তিনি আরও বলেন যে এই তিনটি অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক ও ভূ-ভৌত অবস্থা একে অপরের সাথে তুলনাযোগ্য। এছাড়াও তিনি বলেন, ” আমি মনে করি বাংলাদেশ এই অঞ্চলে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে।” আজ বুধবার ঢাকার বারিধারার গার্ডেন গ্যালারি কসমসে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ অনায়াসে ৪,০০০ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করতে পারে, যেখানে অতিরিক্ত চাপের (ওভারপ্রেশার) সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
একটি প্রশ্নের জবাবে এই অস্ট্রেলীয় জ্বালানি বিশেষজ্ঞ জানান, বাংলাদেশের অফশোর গ্যাস ব্লকের সীমিত ডেটা অ্যাক্সেসই সাম্প্রতিক গ্যাস ব্লক বিডিংয়ে বড় কোম্পানিগুলো অংশ না নেওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ।তিনি বলেন, “যদি আপনার ডেটা উন্মুক্ত না করেন এবং তেল কোম্পানিগুলোর জন্য তা সহজলভ্য না করেন, তাহলে কোনো কোম্পানি বিডিংয়ে অংশ নিতে আগ্রহী হবে না।”
তবে তিনি উল্লেখ করেন যে বর্তমান পরিস্থিতির সুবিধা নিয়ে অনেক আন্তর্জাতিক তেল ও গ্যাস কোম্পানি বাংলাদেশে আগ্রহ দেখাচ্ছে। তবে তিনি এও বলেন যে বর্তমান বৈশ্বিক গ্যাস বাজারের দাম তেল কোম্পানিগুলোর জন্য অনুকূল নয়।
এছাড়া কসমস গ্রুপের এমডি মাসুদ খান বলেন, ২০২৩ সালে চালু হওয়া SEAPEX-এর বাংলাদেশ অধ্যায় দেশের জ্বালানি খাতের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় তিনি আরও বলেন, “আমরা নিয়মিতভাবে সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন করছি, যাতে দেশের জ্বালানি খাতের সম্ভাবনাকে তুলে ধরা যায়।”