প্রোটিন দিবস কাল, নিশ্চিত করতে হবে প্রোটিনের অধিকার

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ‘প্রোটিন দিবস’। প্রোটিন বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি এবং সবার জন্য প্রোটিনের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এবং ইউ এস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল (ইউএসএসইসি) যৌথভাবে দিবসটি উদযাপন করবে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘ফুয়েলিং সাউথ এশিয়া: দ্য রাইট প্রোটিন, দ্য রাইট ওয়ে’।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বসুন্ধরায় বিপিআইসিসি’র কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বিপিআইসিসি সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার জনসংখ্যা ২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ। এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল ও ঘনবসতিপূর্ণ ভৌগলিক অঞ্চল।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে- দক্ষিণ এশিয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের স্বল্পতা রয়েছে। এ ঘাটতির কারণে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রোটিনের গুরুত্ব ও এর উৎস সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে, যার কারণে মানুষ পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করছে না। তিনি বলেন, কোষের গঠন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হাড় ও পেশী গঠনে প্রোটিন অপরিহার্য। অপর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য ক্ষতিকর। দারিদ্র্য, প্রোটিন খাদ্যের অপ্রতুলতা ও মূল্যবৃদ্ধিও কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রোটিনের ঘাটতি বাড়তে পারে। খাদ্যের ধরণ, রীতি, সাংস্কৃতিক বিশ্বাস, কুসংস্কার ইত্যাদি- এ অঞ্চলের মানুষের প্রোটিন গ্রহণকে প্রভাবিত করছে। প্রোটিন ঘাটতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা এবং টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল (ইউএসএসইসি) -এর করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের আঞ্চলিক প্রধান দিবা ইয়ানুলিস অনলাইনে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, আমরা চাই দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ যেন প্রোটিন বিষয়ক সংলাপ, ইভেন্ট ও কার্যক্রমের সাথে অধিকমাত্রায় যুক্ত হন। কেবলমাত্র তাহলেই প্রোটিন গ্রহণের সুফল, এবং ঘাটতির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরি হবে; তারা সঠিক ও যথার্থ প্রোটিন গ্রহণে অনুপ্রাণিত হবেন। তিনি বলেন, সকলের জন্য পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং সেজন্য সকলে মিলে কাজ করতে হবে।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী বলেন, বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ মহুয়া প্রমুখ।