Facebook Bio Status

বিশ্ব প্রোটিন দিবস বৃহস্পতিবার


বিশ্ব প্রোটিন দিবস আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি)। প্রোটিনবিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি এবং সবার জন্য প্রোটিনের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে দিবসটি।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) ও ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল (ইউএসএসইসি) যৌথভাবে দিবসটি পালন করবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ফুয়েলিং সাউথ এশিয়া: দ্য রাইট প্রোটিন, দ্য রাইট ওয়ে’।

দিবসটি উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরায় বিপিআইসিসির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সংগঠনটির সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে- দক্ষিণ এশিয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের স্বল্পতা রয়েছে। এ ঘাটতির কারণে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রোটিনের গুরুত্ব ও এর উৎস সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে, যার কারণে মানুষ পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করছে না।

তিনি বলেন, কোষের গঠন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হাড় ও পেশী গঠনে প্রোটিন অপরিহার্য। অপর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য ক্ষতিকর। দারিদ্র্য, প্রোটিন খাদ্যের অপ্রতুলতা ও মূল্যবৃদ্ধিও কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রোটিনের ঘাটতি বাড়তে পারে। খাদ্যের ধরন, রীতি, সাংস্কৃতিক বিশ্বাস, কুসংস্কার ইত্যাদি- এ অঞ্চলের মানুষের প্রোটিন গ্রহণকে প্রভাবিত করছে। প্রোটিন ঘাটতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।

ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিলের করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের আঞ্চলিক প্রধান দিবা ইয়ানুলিস অনলাইনে পাঠানো এক বার্তায় বলেন, আমরা চাই দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ যেন প্রোটিনবিষয়ক সংলাপ, ইভেন্ট ও কার্যক্রমের সঙ্গে অধিকমাত্রায় যুক্ত হন। তাহলেই প্রোটিন গ্রহণের সুফল এবং ঘাটতির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরি হবে; তারা সঠিক ও যথার্থ প্রোটিন গ্রহণে অনুপ্রাণিত হবেন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী বলেন, প্রোটিনের ঘাটতি মোকাবিলা করা এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় প্রোটিন সচেতনতা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ইতিবাচক প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে হবে এবং সুষম খাদ্য গ্রহণে মানুষকে উৎসাহিত করতে হবে।

বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ মহুয়া বলেন, প্রোটিন আমাদের অধিকার। ইট যেমন একটির পর একটি সাজিয়ে বিল্ডিং তৈরি হয়, তেমনি মানবদেহের বিল্ডিং ব্লক হচ্ছে প্রোটিন। আমাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ প্রোটিনের ওপর নির্ভরশীল। ভেগান ও ভেজিটেরিয়ানদের ক্ষেত্রে প্রোটিন ঘাটতির ঝুঁকি অনেক বেশি। প্রোটিনের অভাবে গর্ভধারণজনিত সমস্যা, এনিমিয়া, আলঝেইমার রোগসহ নানাবিধ অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

তিনি বলেন, ডিম, দুধ, মাছ ও মাংস হচ্ছে প্রাণিজ প্রোটিন এবং এগুলো হচ্ছে প্রথম শ্রেণির প্রোটিন। অন্যদিকে সয়াবিন, তফু, ডাল, বীজ ইত্যাদি উদ্ভিজ্জ প্রোটিনগুলোও পুষ্টি চাহিদা পূরণে বেশ কার্যকর। আমাদের প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া উচিত। ডিমের একটি উপাদান হচ্ছে কোলিন, যা আমাদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য প্রয়োজন। এতে আরও রয়েছে ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।

বিএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

Back to top button