এ বছরেই জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে -খেলাফত মজলিস

খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেন, জাতীয় স্বার্থে জুলাই অভ্যুত্থান সময়ের ঐক্য অটুট রাখতে হবে। পতিত ফ্যাসিবাদীদের সুবিধা হয় এমন সব তৎপরতা থেকে সবাইকে দূরে থাকতে হবে। বিভেদ নয় ঐক্য এ চেতনা ধারণ করে আমাদের সামনে আগাতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে এ বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর মাহে রমজানের পবিত্রতা বিনষ্ট হয় এ ধরণের সকল অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। গতকাল শনিবার বিজয় নগরস্থ একটি হোটেলে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে খেলাফত মজলিস আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এতে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক অভিধানে নেই এমন কোন শব্দের অসংলগ্ন প্রয়োগ করে রাজনৈতিক ধু¤্র্রজাল সৃষ্টি কাম্য নয়। জাতীয় সংসদের এখতিয়ারই হলো সংবিধান সংশোধনের এখতিয়ার। জাতীয় সংসদ নির্বাচনই আমাদের একমাত্র অগ্রাধিকার হওয়া উচিৎ।
অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে মেহমান হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াস সদস্য মাওলানা মোসাদ্দে বিল্লাহ আল মাদানী, খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা আবু জাফর কাসেমী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মনজু, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন, জাতীয় পাটির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাইফুল হক, জাতীয় নাগরিক পাটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান আদিব, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ, জাগপা’র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত আবদুল কাইয়ুম, বাংলাদেশ ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পাটিঁর চেয়ারম্যান এডভোকেট আনওয়ারুল ইসলাম চাঁন, আমজমনতা দলের চেয়ারম্যান কর্ণেল মিয়া মশিউজ্জামান, লেবার পাটির চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, লেবার পাটির চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মাহদী, জাসদের শহীদ উদ্দিন মাহমুদ ম্বপন, নেজামে ইসলাম পাটিঁর সহ-সভাপতি আবদুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবি সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন, ট্রেজারার অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রেজা, নিউ নেশন সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ডিজি এম আবদুল্লাহ, বিএফইউজে নির্বাহী সদস্য শাহীন হাসনাত, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি মো.ফখরুল ইসলাম ও লে.কর্ণেল চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দী।
খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল জলিলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, খেলাফত মজলিসের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সোবহানী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সালেহিন, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহাসচিব ড: আহমদ আবদুল কাদের। তিনি বলেন, মানবীয় প্রভুত্বের হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে আল্লাহর বিধানের কাছে মানুষকে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণ করতে হবে। মাহে রমজানের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে আমাদেরকে একটি পরিশুদ্ধ সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাজ ত্বরান্বিত করতে হবে। মজলুম মানবতার মুক্তির জন্য খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা পুনপ্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। আমাদেরকে ফিলিস্তিন সহ নির্যাতিত সকলের পাশে দাঁড়াতে হবে।