৭ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি

ইটভাটা মালিকদের হয়রানি বন্ধে ৭ দফা দাবিতে ঢাকার ধামরাই উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ। এরপূর্বে মানববন্ধন করা হয় উপজেলা পরিষদ চত্বরে। গতকাল বুধবার উপজেলার নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এ সময় সংগঠনের নেতারা বলেন, ইট প্রস্ততের সঙ্গে প্রায় আড়াই লাখ শ্রমিক কর্মচারী জড়িত। বিভিন্ন সময় অভিযানের নামে বিভিন্ন ইটভাটায় হানা দিয়ে জরিমানা আদায় করাসহ ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এসব হয়রানি বন্ধ না হলে ঈদের পরে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হবে।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ধামরাই উপজেলা পরিষদের সামনে কয়েকশ’ ইটভাটা মালিক ও শ্রমিক ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করে। এ সময় তারা সেখানে দাবি-দাওয়া নিয়ে বক্তব্য পেশ করেন।
এ সময় উপজেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নেতা আবুল হোসেন ও মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ধামরাইয়ে উপজেলায় ইটভাটা মালিকরা বিগত ৩৫-৪০ বছর ধরে অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ইটভাটার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এ পেশার সঙ্গে কয়েক লাখ নারী-পুরুষ জড়িত। এখন সরকার নানা অজুহাতে ইটভাটা বন্ধের চক্রান্ত করছে। এটি কখনও হতে দেওয়া হবে না বলে তারা জানান। তারা আরো বলেন, সরকারি যে কোন দিবস পালন অনুষ্ঠানে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে আর্থিক সহযোগিতা করে থাকি।
ধামরাইয়ে ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদ এবং ইটপ্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০১৯ এ বর্ণিত জিগজাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তির জটিলতা নিরসনের জন্য ৭ দফা দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয় ভাটা মালিকরা। স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন উপজেলার নির্বাহী অফিসার মামনুন আহমেদ অনিক।
ইটভাটা মালিক সমিতির দেয়া স্মারকলিপি পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামনুন আহমেদ অনিক বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান থাকবে। তবে স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে প্রেরণ করেছি।

Source link

Exit mobile version