৭৫ ঘণ্টা পরে গ্রেফতার পুণের ধর্ষক

৭৫ ঘণ্টা পরে অবশেষে ধরা পড়ল পুণে ধর্ষণ কা-ের মূল অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এর আগেও ছটি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তারজন্য জেলও খেটেছে। কুখ্যাত অপরাধীকে ধরতে গোটা মহারাষ্ট্রজুড়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। অবশেষে শুক্রবার ধরা পড়েছে দত্তাত্রেয় রামাদাস গাদের নামে ওই ব্যক্তি।
ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই পলাতক ছিল দত্তাত্রয়। তার খোঁজে পুলিশ ১৩টি বিশেষ দল গঠন করে। অভিযুক্তের খোঁজ দিলে ১ লাখ রুপি পুরস্কার দেয়া হবে বলেও ঘোষণা করে পুলিশ। গোটা মহারাষ্ট্রজুড়ে তল্লাশি শুরু হয়। ড্রোন, পুলিশ কুকুরকেও নামানো হয় তল্লাশির কাজে। অভিযুক্তের বাড়ি যে গ্রামে, সেখানেও হানা দেয় বিশেষ বাহিনী। খোঁজ চালানো হয় আখের খেতেও। অবশেষে ৭৫ ঘণ্টা তল্লাশি শেষে শুক্রবার ভোররাতে ধরা পড়ে দত্তাত্রেয়। আপাতত তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। ৩৬ বছরের গাদে দাগী দুষ্কৃতী, জানিয়েছে পুলিশ। অতীতেও জঘন্য অপারধের কারণে পুলিশের খাতায় নাম উঠেছে অভিযুক্তের। পুণে শহর এবং পার্শ্ববর্তী অহল্যানগরে ছ’টি চুরি ঘটনা, ডাকাতি এবং গলার হার ছিনতাইয়েও অভিযুক্ত সে। একাধিক অপরাধের ঘটনায় জেলও খেটেছে। ২০১৯ সালে জামিনে মুক্ত হয়। তবে এর আগে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেনি তার বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোরে পুণের স্বর্গতে বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিলেন নির্যাতিতা। সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকা বাসে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকে দেয়া বয়ানে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তিনি পরিচারিকার কাজ করেন। এদিন ভোরে বাড়ি ফিরছিলেন। বাস ধরার জন্যই সেখানে গিয়েছিলেন। যুবতীর অভিযোগ, অভিযুক্ত তাকে প্রথমে ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করে। তারপর বলে এই বাসেই উঠুন। এটা যাবে। কিন্তু বাসের আলো নেভানো দেখে তিনি প্রথমে উঠতে চাননি। তাকে ইতস্তত বোধ করতে দেখে অভিযুক্ত বলে, বাসের যাত্রীরা ঘুমাচ্ছে। তাই লাইট নেভানো। এরপর তিনি বাসে উঠতেই অভিযুক্ত যুবক তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

Source link

Exit mobile version