Status

৬৫৩১ প্রার্থীর ফল বাতিলের বিরুদ্ধে আজ আপিল শুনানি

সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগে ৬ হাজার ৫৩১ জনকে নির্বাচন করে প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফল বাতিল করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রায় স্থগিত চেয়ে অধিদফতরের করা আপিলের শুনানি আজ। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষকদের আইনজীবীরা। তারা জানান, সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে আজ (রোববার) মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি মো: রেজাউল হক চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। ওইদিন শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান। রিটকারী শিক্ষকদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাড. জয়নুল আবেদীন। তাকে সহযোগিতা করেন কামরুজ্জামান ভুঁইয়া ও ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের ওপর জারি করা রুলের প্রেক্ষিতে চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগে ৬ হাজার ৫৩১ জনকে নির্বাচন করে প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফল বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।
সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল ঘোষণা হয়েছিলেন আইনি প্রক্রিয়া মেনেই রায়ে ৬ হাজার ৫৩১ জনকে নির্বাচন করে প্রকাশিত চূড়ান্ত ফলাফল এবং নির্বাচিত ব্যক্তিদের অনুকূলে নিয়োগপত্র ইস্যুর সিদ্ধান্ত আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি মেধার ভিত্তিতে গত বছর ২৩ জুলাইয়ের পরিপত্র অনুসরণ করে নতুন করে ফলাফল প্রকাশ করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয় বলে জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষে গত সপ্তাহে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। তবে সেদিন আপিল বিভাগের চেম্বার জাস্টিস মো: রেজাউল হক ‘নট টুডে’ বা আজ নয় মঞ্জুর করেন।
ওইদিন এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, আবেদনের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানি করবেন। সেজন্য সময় চাওয়া হয়। আদালত ১ দিন সময় মঞ্জুর করেছেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
২০২৩ সালের ১৪ জুন ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ৬ হাজার ৫৩১ প্রার্থীকে নির্বাচন করে গত বছরের ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ১১ নভেম্বরের এ সংক্রান্ত আদেশ অনুসারে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনুকূলে ২০ নভেম্বর নিয়োগপত্র ইস্যু করার কথা ছিল। তবে ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩১ প্রার্থী নভেম্বরে রিট করেন। শুনানি নিয়ে ওইবছর ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সেইসঙ্গে ৩১ অক্টোবর ও ১১ নভেম্বরের সিদ্ধান্তের কার্যক্রম স্থগিত করেন। রুলে ৩১ অক্টোবরের ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিষয়ে ১১ নভেম্বরের নির্দেশনাসংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- জানতে চাওয়া হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
ওই বছর ৩১ অক্টোবর ও ১১ নভেম্বরের সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। যা ৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে। ওইদিন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে দিয়ে হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করে চলতি বছর ৬ ফেব্রুয়ারি রায় দেয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

Source link

Back to top button