১৮ বছরের কিশোরী সিইও নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৪০ সদস্যের দলে

বয়স নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো আত্মবিশ্বাস, জ্ঞান ও নেতৃত্বের দক্ষতা—এমন মানসিকতা নিয়েই দুবাইয়ের নলেজ একাডেমির সিইও-ইন-ট্রেইনিং অমৃতা হোথি এগিয়ে চলেছেন।
যুক্তরাজ্যের উইন্ডসরে জন্ম নেওয়া অমৃতা হোথি বেশিরভাগ পড়াশোনা সেখানেই করেছেন। পরে দুবাইয়ের জুমেইরাহ কলেজ থেকে জিসিএসই সম্পন্ন করেন। তবে কোভিড মহামারির সময় অনলাইন ক্লাসে সম্পৃক্ত হতে না পারায় তিনি প্রথাগত শিক্ষার বিকল্প নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। বাস্তব জগতের চ্যালেঞ্জ তাকে বেশি আকর্ষণ করছিল।
আরও পড়ুন>>
এরপর চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিংয়ের একটি কোর্সে ভর্তি হলেও সেখানে সঠিক পথ খুঁজে পাননি। তখন তিনি তার বাবা-মায়ের প্রতিষ্ঠিত নলেজ একাডেমিতে কাজ শুরু করেন, যা বৈশ্বিক প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, তথ্যপ্রযুক্তি ও নেতৃত্ব উন্নয়ন কোর্স করিয়ে থাকে।
১৬ বছর বয়সেই নেতৃত্বের ভূমিকায়
মাত্র ১৬ বছর বয়সে অমৃতা ৫০ জনের একটি দলের পরিচালনায় দায়িত্ব পান। তিনি পরীক্ষার প্রস্তুতি ও শিডিউল ব্যবস্থাপনার কাজ করতেন। ব্যবসায়িক পরিবেশ তার জন্য নতুন কিছু ছিল না, কারণ ছোটবেলা থেকেই তিনি ব্যবসায়িক আলোচনার মধ্যে বড় হয়েছেন।
বর্তমানে ১৮ বছর বয়সে তিনি ৪০ জনের একটি দল পরিচালনা করছেন এবং নলেজ একাডেমির সিইও-ইন-ট্রেইনিং হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বয়সজনিত সংশয়ের মুখোমুখি হলেও অমৃতা জানেন, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে বয়স কখনোই বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।
তিনি কি কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে না যাওয়ার জন্য আক্ষেপ করেন? অমৃতার স্পষ্ট জবাব—না। বরং তিনি গর্বিত যে এক অনন্য পথে হাঁটছেন এবং কাজের মাধ্যমে নিজের দক্ষতা বাড়িয়ে নিচ্ছেন।
জেনারেশন জেড-এর কর্মসংস্কৃতি
অমৃতার মতে, নতুন প্রজন্ম কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে জানে। তারা কেবল ক্যারিয়ার নয়, বরং জীবনকেও উপভোগ করতে চায়। আগের প্রজন্ম যেখানে চাকরি বদলাতে ভয় পেতো, সেখানে জেনারেশন জেড নিজেদের জন্য আরও অর্থবহ কাজের সন্ধানে থাকে।
অমৃতা হোথির গল্প প্রমাণ করে যে বয়স কোনো সীমা নয়—সাহস, জ্ঞান ও আত্মবিশ্বাস থাকলে তরুণ বয়সেও করপোরেট দুনিয়ায় সফল হওয়া সম্ভব।
সূত্র: গালফ নিউজ
কেএএ/