Status

হিজাবের বিরুদ্ধে গান লেখায় ৭৪ বেত্রাঘাত ইরানি গায়কের

 

হিজাব নিয়ে ইরানে যেন বিতর্ক কিছুতেই থামতে চাইছে না। এবার হিজাব পরানোর বিরুদ্ধে গান লিখে আয়াতুল্লা খামেইনির প্রশাসনের কোপে পড়লেন ইরানের বিখ্যাত গায়ক মেহেদী ইয়ারাহি। হিজাবের বিরুদ্ধে গান লিখে দেশদ্রোহিতার অপরাধের দায়ে তাকে ৭৪ বেত্রাঘাতের সাজা শোনানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।

 

মেহেদীর শাস্তির কথা জানতে পেরেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন মানবাধকার কর্মীরা। এমনকি জেল বন্দি শান্তিতে নোবেলজয়ী নার্গেস মোহাম্মদী তার ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘মেহেদী ইয়ারাহিকে চাবুক মারার সাজা ইরানের মহিলাদের প্রতি তার সমর্থনের বদলা। মেহেদীর শরীরে প্রতিটি চাবুকের আঘাত অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করা ইরানি মহিলাদের গায়ে পড়বে।’

 

হিজাব না পরার অপরাধে ২০২২ সালে মাহশা আমিনি নামে ২২ বছরের এক তরুণীকে গ্রেফতার করেছিল ইরান পুলিশ। তার পরে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন চরম নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছিল তার। মাহশার মৃত্যুর পরেই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন ইরানের মহিলারা। সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাজপথেও নেমেছিলেন তারা। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল তেহরান সহ ইরানের বিভিন্ন শহর। ওই আন্দোলন দমাতে চরম নিপীড়নের পথে হেঁটেছিল প্রশাসন। 

 

মাহশার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং হিজাব বিরোধী আন্দোলনে সামিল ইরানি মহিলাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে ২০২৩ সালে ‘রো সারিতো’ (হেডস্কার্ফস) নামে একটি গান রিলিজ করেছিলেন মেহেদী ইয়ারাহি। নিমিষেই ওই গান ভাইরাল হয়ে যায়। কিন্তু মেহেদীর ওই গান পছন্দ হয়নি ইরানের শাসকদের। দেশের জনপ্রিয় গায়কের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। বিচারে প্রথমে এক বছর জেলের সাজা শোনানো হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই সাজা মকুব করে ১৫ আরব টোমেন (ইরানি মুদ্রা) জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে ৭৪ বেত্রাঘাতের সাজা দেয়া হয়।

 

সেই সাজা মেনে নেয়ার কথা জানিয়েছেন মেহেদী। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘পিঠে ৭৪ বার চাবুকের আঘাত নেওয়ার জন্য তৈরি। এই অমানবিক সাজার নিন্দা করছি। কিন্তু সাজা মকুবের কোনও অনুরোধ করব না।’

Source link

Leave a Reply

Back to top button