হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবায় সন্তুষ্ট রোগীরা

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা, চিকিৎসার মান ও হাসপাতালের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা।

 

জানা যায়, জেলার পদ্মা অধ্যুষিত অন্যতম উপজেলা হরিরামপুর। এ উপজেলায় প্রায় তিন লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর জন্য নব্বই দশকের গোড়ার দিকে ৩১শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়। পরে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় রূপান্তরিত হয়। সময়ের পরিক্রমায় হাসপাতালটি ধারাবাহিকভাবে আধুনিকায়নে পরিণত হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সেবা নিতে আসা রোগীরা সেবার মান ও পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

 

২৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও বর্হিঃবিভাগে রোগীদের সারিবদ্ধভাবে টিকিট কাউন্টার থেকে অটেমেশিনের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহণ করতে দেখা যায়।
চিকিৎসাসেবা নিতে আসা উপজেলার বলড়া ইউনিয়নের বহলাতুলি গ্রামের রওশনারা জানান, ঠান্ডাকাশি নিয়ে আমি ডাক্তার দেখাইতে আসছিলাম। ডাক্তার দেখাইছি। ওষধও দিয়েছে। এখানে চিকিৎসা সেবায় আমাদের কোনো সমস্যা নাই। ভাল মতোই দেখা শোনা করে।

 

বয়ড়া ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামের অন্তস্বত্তা নাসরিন সুলতানা জানান, আমি অন্তসত্ত্বা জনিত কারনে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. মুর্শিদা খানমের কাছে এসেছিলাম। তিনি দেখে পরামর্শ দিয়ে দিলেন। এখানে চিকিৎসাসেবায় আমাদের কোনো সমস্যা নেই। বেশ ভালই।

 

একই গ্রামের শিপ্রা রানী হালদার জানান, আমি ঠান্ডা জ্বর নিয়ে এসেছি। ডাক্তার দেখে ওষধ দিয়েছে। আমরা এখানে ঠিকঠাক মতো সেবা পাচ্ছি। চিকিৎসাসেবায় কোনো সমস্যা নেই।
যাত্রাপুর গ্রামের নব্বই উর্ধ্ব বয়স্ক সুবল কর্মকার জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাস কাশি ভুগছি। তাই মাঝে মাঝেই হাসপাতালে আসতে হয়। তবে এখানে চিকিৎসাসেবায় আমাদের কোনো সমস্যা হয় না। বেশ ভালই।
দোতলায় পুরুষ ওয়ার্ডের ২নম্বর বেডে ভর্তি উপজেলার গালা ইউনিয়নের বাঙ্গালা গ্রামের নাসির বিশ্বাস জানান, শ্বাস কষ্ট জনিত রোগে আমি দুই দিন যাবৎ ভর্তি আছি। এখানে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। চিকিৎসাসেবার মান অত্যন্ত ভাল। সবাই বেশ আন্তরিক। আমরা ভাল আছি।

 

একই ওয়ার্ডের ৪নং বেডে ভর্তি সদর উপজেলার হাটিপাড়া গ্রামের ৮০ বছর বয়স্ক একেন আলী জানান, আমি শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনদিন যাবৎ ভর্তি আছি। এখন কিছুটা কম। তবে এখানে আমাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সবমিলিয়ে সেবার মান ভাল।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কাজী এ. কে. এম রাসেল জানান, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি হাসপাতালের চিকিৎসার মান ও পরিবেশগত দিক বজায় রাখতে। আসলে আমাদের প্রধান সমস্যা হলো জনবল সংকট। এখনও ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জনবল দিয়েই ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল পরিচালনা করতে হচ্ছে। তাই ইচ্ছা থাকা সত্বেও অনেক সময় আমরা অনেক সেবা সুষ্ঠুভাবে দিতে পারি না। তবে আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। জনবল সংকট দূর হলে পরিপূর্ণ সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব বলে আশা রাখি।

Source link

Exit mobile version