
স্টুডিও ব্যবসায়ী মাইদুল ইসলাম। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের ১ নম্বর রোডের এ-ব্লকের ৫৮ নম্বর বাড়িতে বৈশাখী স্টুডিও-এর মালিকও তিনি। বসবাসও করেন সেখানে।
মুল ঘটনাটি ঘটে গত ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে। মাইদুলের পরিবারের অভিযোগ, ওই দিন তারা পুরো পরিবার নিয়ে মাইদুলের শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। সেদিন একই রোডের একটি বাড়িতে হামলা চালায় স্থানীয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। সন্ত্রাসীরা হারুন অর রশিদ নামের এক ব্যক্তিকে মারধর ও কুপিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় রহস্যজনকভাবে মাইদুলকে আসামি করা হয়। গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে ব্যবসায়ী মাইদুল জেলহাজতে রয়েছেন। অথচ এ মামলা এবং হামলা সম্পর্কে কিছুই অবহিত ছিলেন না মাইদুল। অপরদিকে মাইদুলের স্ত্রী সন্তানদেরও হুমকি দিচ্ছে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। কিশোর গ্যাংদের অব্যাহত হুমকিতে তার স্ত্রী-সন্তানও রয়েছেন চরম নিরাপত্তাহীনতায়। পুলিশ জানায়, কিশোর গ্যাংদের হামলায় আহত হারুন অর রশিদ ভুমি অফিসে চাকুরি করেন। তিনি চাকুরির পাশাপাশি ঢাকা উদ্যান এলাকায় জমিজমার ব্যবসা করেন। এরই জেরে হারুনকে মারধর করে আহত করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃত মাইদুল ইসলামের স্ত্রী মারিয়া আক্তার আসমা জানান, বসবাসরত ওই বাড়ির দ্বিতীয়তলা, ৯ তলা এবং ছাদের ফ্ল্যাট তাদের। ওইসব ফ্লাটের দলিল তাদের বুঝিয়ে দিচ্ছেনা জমির মালিক। উল্টো তার স্বামীকে চক্রান্ত করে মিথ্যা মামলায় জেলে ঢুকিয়ে সম্পদ দখলের পায়তারা করছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন জানান, মামলাটির তদন্ত শুরু করেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে মাইদুল ইসলামকে কেন আসামী করা হয়েছে এব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারবো না।