সামরিক বিমানে খরচ বেশী, ‘অনুপ্রবেশকারী’ সরাতে বিকল্পের খোঁজে ট্রাম্প প্রশাসন!

হাতে হাতকড়া, পায়ে শিকল। হাজার হাজার ভারতীয় ‘অনুপ্রবেশকারী’কে এভাবেই আমেরিকা থেকে ‘তাড়িয়েছিল’ ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। সেই নিয়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যে আচমকাই মার্কিন প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিল, সামরিক বিমানে চাপিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ফেরানোর প্রকল্প আপাতত স্থগিত। পাকাপাকিভাবেও বন্ধ হয়ে যেতে পারে অনুপ্রবেশকারীদের ফেরানোর প্রকল্পে, খবর সূত্রের।
মার্কিন সংবাদপত্র দ্য ওয়াল স্ট্রিটের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সামরিক বিমানে চাপিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের দেশে ফেরানোর জন্য বিপুল অর্থ খরচ হচ্ছে আমেরিকার। এমনকি ফার্স্ট ক্লাস বিমানের থেকেও বেশি খরচ হচ্ছে সামরিক বিমানে। অভিবাসীদের ফেরানোর পুরো খরচই মেটানো হচ্ছে মার্কিন নাগরিকদের করের টাকা থেকে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকা থেকে গুয়ান্তানামো পাঠাতেই প্রত্যেক অনুপ্রবেশকারী পিছু ২০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। ভারতে পাঠানো প্রত্যেক বিমান পিছু খরচের পরিমাণ ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, যেহেতু সি-১৭ সামরিক বিমানে চাপিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ফেরানো হচ্ছিল, ফলে বেশ কিছু বিধিনিষেধ মানতে হচ্ছে। মেক্সিকোর আকাশসীমায় ঢুকতে পারছে না সামরিক বিমান। ফলে অহেতুক ঘুরপথে যেতে হচ্ছে, বাড়ছে খরচ। সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানের তুলনায় সামরিক বিমান ওড়ার খরচও অনেক বেশি। সবদিক খতিয়ে দেখেই আপাতত সামরিক বিমানে চাপিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ফেরানো বন্ধ করছে ট্রাম্প প্রশাসন। চলতি মাসের ১ তারিখ শেষ সামরিক বিমান ছেড়েছে আমেরিকা থেকে। আপাতত অনুপ্রবেশকারীদের সামরিক বিমানে চাপিয়ে ফেরানোর প্রকল্প স্থগিত।
হাতে হাতকড়া পরিয়ে, পায়ে শেকল বেঁধে আমেরিকা থেকে ফেরানো হয়েছিল বহু ভারতীয়কে। যা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে বিরোধীরা বারবার বলেছে, ভারতীয়দের এ করুণ দুর্দশার ছবি সহনীয় নয়। অবশেষে সেই প্রকল্পে দাঁড়ি টানতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। উল্লেখ্য, ‘অনুপ্রবেশকারী’দের কড়া বার্তা দিতেই সামরিক বিমানে ফেরানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু কড়া বার্তা দিতে গিয়ে চাপ বেড়েছে মার্কিন কোষাগারেই। তবে সামরিক বিমানে না হলেও, সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানে চাপিয়ে ফেরানো হতে পারে ‘অনুপ্রবেশকারী’দের।