সাবেক সিনিয়র সচিব জিয়াউল আলম চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার

নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার একটি বাসা থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস ও বিক্রির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা একটি মামলার আসামি বলে পুলিশ জানিয়েছে। বুধবার রাতে ওই মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির ঢাকার একটি টিম তাকে গ্রেফতার করেছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, পাঁচলাইশ থানার পেছনের একটি বাড়িতে সিআইডির ঢাকার একটি টিম অভিযান চালিয়েছে। পরে আমরাও গিয়েছিলাম। সেখানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উনাকে ঢাকায় নিয়ে গেছে সিআইডি। জানা গেছে, চমেক হাসপাতালের ওই চিকিৎসক জিয়াউল আলমের নিকটাত্মীয়। তার বাসায় তিনি বেশ কিছুদিন ধরে অবস্থান করছিলেন।
সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের হয়। একই মামলায় পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ আছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি মামলাটি করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিরা জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ব্যবহার করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসার অনুমতি দেন। জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে এনআইডির তথ্য দেশ-বিদেশের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ডিজিকন।
তথ্য বিক্রি করে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।