সাবেক গভর্নর আতিউরসহ ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমানসহ ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন- অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, সাবেক সহকারী পরিচালক ইসমত আরা বেগম, সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ ও অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র নাথ। এ ছাড়া জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদ, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক আজমুল হক, সাবেক এজিএম অজয় কুমার ঘোষ, জনতা ব্যাংক করপোরেট শাখার সাবেক ম্যানেজার মো. গোলাম আজম, ব্যাংকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, এসইও মো. এমদাদুল হক, সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল জব্বার, সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম ফারুক, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক, এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল, মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন ও পরিচালক মো. আবু তালহা।
জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ এ আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। ওই আবেদনে বলা হয়েছে, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। গোপন সূত্রে জানা যায়, আসামিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এজাহারনামীয় ২৩ আসামির বিদেশগমন আটকানো প্রয়োজন।
এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা নথিপত্র তৈরি করে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকে বন্দক দেওয়া জমিতে কোনো ভবন, কারখানা বা স্থাপনা না থাকা সত্ত্বেও তাতে স্থাপনা দেখিয়ে মূল্যায়ন করে ৩ কোটি ৪ লাখ ৯৬ হাজার টাকার জমিকে ৬০৯ কোটি ৮৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা অতিমূল্যায়ন করে ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করেন। এর মাধ্যমে আসামিরা জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখা থেকে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এমআইএন/এএমএ/জিকেএস