সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের রায় আপিলে স্থগিত

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন সেটি স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল সোমবার আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের অনুমতি দেয়া হয়।
আদালতে সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন, ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও মুনতাসির আহমেদ। ১৫৪ রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অবসর বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাইমারি স্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাতেমা নজীব এবং বিচারপতি মাহমুদুর রাজীবের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন। ওই রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। গতকাল আপিল বিভাগ তাদের আবেদন মঞ্জুর করে স্থগিতাদেশ দেন।
প্রসঙ্গত: প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গত বছর ২৮ মে মৌখিক পরীক্ষাসহ এই নিয়োগ প্রক্রিয়া ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পরে আপিল বিভাগ সেটি খারিজ করে দেন। ফলে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
গত বছর ৩১ অক্টোবর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ৬ হাজার ৫৩১ জন।
পরে এই ফলাফল বাতিল চেয়ে রিট করেন বঞ্চিত ১৫৪ জন প্রার্থী। তাদের আবেদনের শুনানি শেষে গত ১৯ নভেম্বর উক্ত ৬ হাজার ৫৩১ জনকে নিয়োগপত্র প্রদানের সরকারি সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের নিয়োগ দেয়ায় আদালত এ আদেশ দেন।
আলোচিত এই নিয়োগের জন্য অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে গণমাধ্যমে আসা অভিযোগ অনুসন্ধান করতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

Source link

Exit mobile version