সাড়ে ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার

রাজধানীসহ সারা দেশে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৫ হাজার ৪৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ তথ্য জানান।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, উপদেষ্টা পরিষদের যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় সেটার একটা রিভিউ হয়। সেই রিভিউতে দেখা যাচ্ছে, ১৩৫টি সিদ্ধান্তের মধ্যে ৯২টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৬৮.১৬ শতাংশ। এটা বেশ ভালো হার। তিনি বলেন, পিএসসির মাধ্যমে ৩৪৯৩ জন চিকিৎসক রিক্রুট করার প্রক্রিয়া চলমান আছে। এটা অতিরিক্ত হিসেবে আরো দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রামগঞ্জে মানুষের আসলে চিকিৎসা পায় না। তাদের জন্য পর্যাপ্ত ডাক্তার যেন নিশ্চিত করা যায়। চিকিৎসক যেন নিশ্চিত করা যায়। সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিন বলেন, আপনারা জানেন দুটো দেশ থেকে আমরা এলএনজি আনছি। কয়েকদিন আগে আমাদের বাণিজ্য উপদেষ্টা গিয়েছিলেন সউদি আরবে। সেখানে আড়াঙ্কো নামে সবচেয়ে বড় কোম্পানি আছে। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বাজারে যে দামে দেয় তার চেয়ে কমে বাংলাদেশকে এলএনজি সরবরাহ করবে।
তিনি বলেন, বিশেষ পরিবারের সদস্যদের নামে অনেক প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছিল, সেগুলো বাতিল করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ উপদেষ্টার পরিষদের সভায় দুটি প্রতিষ্ঠানের নামকরণ বাতিল করা হয়েছে। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে একটি এককালীন সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল।অভ্যুত্থানে আহত প্রায় ১২ হাজার ৫০০ জনের পরিবারের জন্য স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে এটি একটি এককালীন সুবিধা হিসেবে থাকবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের যে এককালীন সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তারই একটা অংশ হিসেবে এটা বিবেচনা করা হচ্ছে। কোনোভাবেই এটা কোটার সঙ্গে তুলনীয় নয়। পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এখন পর্যন্ত ২২টি উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকগুলোতে মোট ১৩৫টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, তার মধ্যে ৯২টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে। বাস্তবায়নের হার ৬৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। যেটা বেশ ভালো একটা হার। উপদেষ্টা বলেন, আরেকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায়। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে মোড়কজাত খাবার ও পানীয়ের মোড়কে চিনি, লবণ ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বিশ্বের অনেক দেশে পণ্যের গায়ে লেখা থাকে। যাতে যারা ওই খাদ্য গ্রহণ করছেন, তারা সেটা জেনেই গ্রহণ করেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, বৈশ্বিক মানদ-ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরাও বাংলাদেশে এই প্রক্রিয়া শুরু করবো।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদ, সহকারী প্রেস সচিব শুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।