শৈলকুপায় পাওনা টাকা নিয়ে তুমুল সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৫০

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পাওনা টাকা নিয়ে তুমুল সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের রয়েড়া গ্রামে মিজানুর ও খিরা মিয়ার সামাজিক দলের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা। আহতদের শৈলকূপা, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রয়েড়া গ্রামের আকমল হোসেন ও হাসান আলীর মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় রয়েড়া বাজারে আকমল হোসেন তার পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য হাসান আলীর উপর চাপ সৃষ্টি করেন। টাকা চাওয়া নিয়ে শুক্রবার তারা এক দফা হাতাহাতি ও সংঘর্ষে জড়ায়।
সামাজিক আধিপত্য ধরে রাখতে শনিবার সকালে আকমলের সামাজিক দলেন নেতা মিজানুর রহমান ও হাসানের সামাজিক দলের নেতা খিরা মিয়ার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়া শুরু করে এবং এক পর্যায়ে তা তুমুল সংঘর্ষে রূপ নেয়। প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুর রহমান জানান, উভয় সামাজিক দলের সমর্থকরা রয়েড়া গ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিভক্ত হয়ে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ সময় গোটা এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধরা ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। ইটপাটকেলের আঘাতে অর্ধশত মানুষ রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত হয়।
এ সময় সংঘর্ষে রেজাউল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, গোলজার হোসেন, আজিজুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, আবু কালাম, পিকুল মন্ডল, পরশ মোল্যা, সাইদুল ইসলাম, আব্বাস আলী, সাইদুর রহমান, হেলাল উদ্দিন, নাসিমা খাতুন, অমিত হোসেন, আলামিন হোসেন, মহিদুল ইসলাম, আজিজুল, কামরুল হোসেন, ওয়াজেদ আলী, হোসেন মোল্যা, জায়েদ হোসেন, আব্দুল মান্নান,নুরুল ইসলাম, মহিদুল মোল্যা, মাজিদুল মোল্যাসহ ৫০ ব্যক্তি আহত হয়। শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, শৈলকূপার রয়েড়া গ্রামে পাওনা টাকা নিয়ে সংঘর্ষে বেশ কয়েক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়। তিনি জানান, এলাকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।