শহীদ মেজর “সিনহা স্মৃতিফলক” উদ্বোধন করলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

শহীদ মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান (অবঃ) এর স্মরণে নির্মিত “সিনহা স্মৃতিফলক” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের যথাযথ আইন অনুযায়ী দ্রুত বিচার নিশ্চিতকল্পে সর্বপ্রকার সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার করেন।
কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শ্যামলাপুরে বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়নের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্মিত “সিনহা স্মৃতিফলক’ উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।
গত ৩১ জুলাই ২০২০ সালের মধ্য রাতে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার অন্তর্গত বাহারছড়া ইউনিয়নের শ্যামলাপুর নামক স্থানে নিরস্ত্র মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে (অবঃ) চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তৎকালী টেকনাফের ওসি প্রদীপের নির্দেশে গুলি করে হত্যা করে।
মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান (অবঃ) চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ২৬ জুলাই ১৯৮৪ সালে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ এরশাদ খান অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব ছিলেন। তিনি ২১ জুলাই ২০০৩ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ৫১তম বিএমএ লং কোর্সে যোগদান করেন। পরবর্তীতে, ২২ ডিসেম্বর ২০০৪ সালে কমিশন লাভ করেন। চাকুরী জীবনে তিনি অত্যন্ত দক্ষ, বিচক্ষণ, উদ্ভাবনশীল ও চৌকস সেনা অফিসার ছিলেন। তিনি একজন দক্ষ সংগীন যোদ্ধা এবং স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) এর সদস্য ছিলেন।
তিনি ২০১৩ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আইভরিকোস্টে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
অনুষ্ঠানে মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুল্লাহ মিনহাজুল আলম, জিওসি, ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়া; মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ; মেজর সিনহার মা ও বোন; সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব এর সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।