
লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৫৮টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিচারপতি ফাহমিদ কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিটকারী আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০২৪ সালে তিনি লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরের সকল অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের আদেশ চেয়ে রিট করেন। এতে রামগতি উপজেলার ৪৮ এবং কমলনগর উপজেলার ১০টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধের আদেশ চাওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে আদালত অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধের আদেশ দিয়েছেন।
এদিকে রামগতিতে এক এলাকায় ৩৬টি ইটভাটার ছাড়পত্র কীভাবে দেওয়া হলো জানতে চেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন খোঁদ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। গত ৫ ডিসেম্বর তিনি ঢাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরে বাংলাদেশ ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান ২০২৪-৩০ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কী করে এক এলাকায় ৩৬টি ইটভাটা ছাড়পত্র পেলো সেটা পরিবেশ অধিদপ্তরকে জবাব দিতে হবে।
অন্যদিকে লক্ষ্মীপুর পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় ৬২টি ইটভাটা রয়েছে। যার ৫৯টি অবৈধ। এরমধ্যে রামগতির ৪৬ এবং কমলনগরের ১৩টি।
লক্ষ্মীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান বলেন, মৌসুমের আগে অবৈধ ইটভাটা বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা অভিযান চালিয়ে কয়েকটি ইটভাটা ধ্বংস ও জরিমানা আদায় করা করেছি। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের সব অবৈধ ইটভাটা চার সপ্তাহের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় তার ব্যাখ্যা দিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনারকে তলব করা হয়। ১৭ মার্চ তাদের সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল।
কাজল কায়েস/এমএন/এমএস