র‌্যাবের আটক তোফাজ্জেল, চরমপন্থিরা অধরা

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার হানিফসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন নামে একজনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)।

 

মঙ্গলবার (০৪ মার্চ ) ঝিনাইদহ র‌্যাব -৬ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় । এই নিয়ে র‌্যাব সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করলো। এর আগে এ হত্যা মামলায় গত ২৪ ফেব্রয়ারি র‌্যাব ঝিনাইদহ শহরের সার্কিট হাউজ এলাকা থেকে সন্ত্রাসী মোঃ আবু সাঈদ ও গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর সোনাতলা এলাকা হতে আনারুল ইসলাম রাজ নামে দুইজনকে আটক করে।

 

র‌্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোর রাতে একটি আভিযানিক দল ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শিংনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়ার পিয়ারপুর গ্রামের জনাব আলী মন্ডলের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৫৩) কে আটক করে। আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শৈলকুপা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।  

 

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে গত ২১ ফেব্রয়ারি রাতে শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের শ্মশান ঘাট এলাকায় গুলি করে বেআইনী সংগঠন পুর্ববাংলার সামরিক কমান্ডার হরিনাকুন্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের হানিফ ওরফে হানেফ, তার শ্যালক ও সহযোগী একই উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মোঃ লিটন হোসেন এবং কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামের রাইসুল ইসলাম রাজুকে হত্যা করে। হত্যার পর কালু বাহিনীর নাম ব্যবহার করে গনম্ধ্যমকর্মীদের কাছে দায় স্বীকার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত’র ভাই মোঃ সাজেদুল ইসলাম ইশা বাদী হয়ে ২৪ ফেব্রয়ারি শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। র‌্যাব আরো জানায় নিহত মোঃ হানিফ ওরফে হানেফ এবং তার ভাই মামলার বাদী মোঃ সাজেদুল ইসলাম ইশা হরিণাকুন্ডু উপজেলা মৎস্যজীবীদের পক্ষে নারায়নকান্দী বাওড় গত ৫/৬ বছর যাবৎ ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিল।

 

এলাকা দখল ও উক্ত বাওড় নিয়ে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে এই ট্রিপল হত্যার মোটিভ ও ক্লু নিয়ে এখনো সচ্ছ ধারণায় আনতে পারেনি আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। চরমপন্ধি অধ্যুষিত ঝিনাইদহে পুলিশ বা র‌্যাবের নবীণ কর্মকর্তারা অনেকটা খেই হারিয়ে ফেলছেন। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে গোয়েন্দা ব্যার্থতা। সরকারের গোয়েন্দা বিভাগে বর্তমান যারা কর্মরত আছেন তারা এই অঞ্চলের আন্ডারওয়ার্ল্ড সম্পর্কে অবগত নয়। তাদের কাছে সাবেক ও বর্তমান চরমপন্থিদের আপগ্রেট কোন তথ্য নেই। ফলে ট্রিপল মার্ডারের ১২ দিন অতিবাহিত হলেও কিলিং মিশনে কারা অংশ গ্রহন করেছিল তা বের করতে পারেনি।

 

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ র‌্যাবের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ নাঈম আহম্মেদ জানান, আটককৃতরা সন্ত্রাসী ও চরমপন্থি দলের সদস্য। তবে তারা এই ট্রিপল মার্ডারে অংশ গ্রহন করেছিল কিনা তা পুলিশ তদন্ত করে বের করবে।

Source link

Exit mobile version