
ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন গতকাল বুধবার। সেটা ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে। অর্থাৎ মাঠের বাইরে থেকে। সে হিসেবে চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুবাইয়ের ম্যাচটিই মুশফিকুর রহিমের লম্বা ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে। বৃষ্টির বাধার মুখে না পড়লে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি তার শেষ ওয়ানডে হতে পারতো।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০ ওভারের ফরম্যাটে মুশফিককে আর ব্যাট, প্যাড ও গ্লাভস হাতে দেখা যাবে না। তবে আজ বৃহস্পতিবার কাকতালীয়ভাবে অবসরের ঠিক পরদিনই ডানহাতি উইকেটরক্ষককে ব্যাটারকে দেখা গেছে শেরে বাংলায়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের জার্সি গাড়ে জড়িয়ে এসেছিলেন তিনি।
সকালে মোহামেডানের ক্রিকেটাররা মুশফিককে ‘গার্ড অব অনার’ দেন। মাঠে নামার আগে দুই সারিতে ভাগ হয়ে সকল ক্রিকেটার সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে মুশফিককে প্যাড পড়া ও গ্লাভস হাতে নামতে দিয়েছেন আগে।
মোহামেডানের হয়ে পুরো ম্যাচ কিপিং করে দুটি স্টাম্পিং করেছেন মুশফিক। সঙ্গে একটি ক্যাচও তালুবন্দী করেছেন। প্রেস বক্সে সাংবাদিকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন মুশফিক কখন ব্যাটিংয়ে নামেন, কী করেন। নাহ, বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে মুশফিক ব্যাটিংয়েই নামেননি।
এদিন রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় পায় মুশফিকের দল মোহামেডান। দুই তরুণ মাহিদুল ইসলাম অংকন ও তাওহিদ হৃদয় চতুর্থ উইকেটে ১১৯ রানের জুটি করে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। যে কারণেই মুশফিককে নামতে হয়নি।
ব্যাট হাতে নামতে না পারলেও মোহামেডান ক্রিকেটাররা খেলা শেষে মুশফিককে আরও একটি উপহার দেন। মাঠের ভেতরে ক্রিকেটাররা কেক কেটে দিনটিকে আনন্দময় করে রাখেন।
মুশফিক রোজা ভাঙেন না কোনো সময়। প্রথম ম্যাচের মতো আজও রোজা রেখেই খেলেছেন। তাই নিজে খেলা শেষে (সময় তখন বিকেল পৌনে ৪টা) কেক কাটলেও মুশফিক তা খাননি। খাইয়ে দিয়েছেন সহযোগী রনি তালুকদারকে (তিনি সনাতন ধর্মের অনুসারী)।
সাধারণত খুব বেশি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হতে চান না মুশফিক। ওয়ানডে থেকে অবসরের পরদিন গণমাধ্যমের সামনে কথা বলবেন কি মুশফিক? শেরে বাংলায় উপস্থিত সাংবাদিক বহরের প্রায় সবার মাঝেই ছিল সংশয়। সে সংশয় অমূলক নয়।
বৃহস্পতিবার মোহামেডানের ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন না মুশফিক। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে মোহামেডান কর্তাদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছিল, খেলা শেষে যেন মুশফিককে কথা বলতে দেওয়া হয়। কিন্তু নাহ, মুশফিক রাজি হননি কথা বলতে।
মোহামেডান ম্যানেজার সাজ্জাদ আহমেদ শিপন, যিনি মুশফিকের বিকেএসপির বড় ভাইও, বিনয়ের সঙ্গে জানালেন, নাহ- মুশফিক কথা বলবে না। মোহামেডানের আরেক কর্তা তারিকুল ইসলাম টিটুও অপারগতা প্রকাশ করেন।
এআরবি/এমএইচ/জেআইএম