রোজা এমন একটি ইবাদত যার বিনিময় স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা দেবেন

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামস্থ গাংরা বাজার জামিয়া আশরাফিয়া মাদরাসায় ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও আখেরি মোনাজাত করেন আল্লামা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জৈনপুরী পীর সাহেব।
তিনি বলেন, আরবি মাসের মধ্যে মাহে রমজান এবং রমজান শরীফের রোজা আমাদের জন্য আল্লাহর খাচ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত, কেননা বুখারী মুসলিম শরীফের হাদিসে রয়েছে কালাল্লাহু তায়ালা ইন্নাছ ছাওমা ফাইন্নাহু লী ওয়া আনা আজজীবিহী অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা বলেন, রোজা আমার জন্য এবং আমি উহার বিনিময় প্রদান করিব। দ্বিতীংশে রয়েছে রোজাদারের জন্য দুইটা আনন্দ, একটা তাহার ইফতারকালীন এবং দ্বিতীয়টি স্বয়ং তাহার প্রতিপালকের সহিত সাক্ষাৎ কালীন। তৃতাংশে রয়েছে নিশ্চয়ই রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহ তাআলার নিকট মৃগনাভি অপেক্ষা সমধিক সৌরভময় এবং রোজা ঢাল স্বরুপ।
উক্ত সহীহ হাদীছের মর্মানুযায়ী এবং পবিত্র কুরআনের বানী ‘শাহরু রামাদানাল্লাজী উনজিলা ফীহিল কুরআন’ অর্থাৎ রমজান এমন এক মহান মাস যার মধ্যে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে, ইহা আমাদের জন্য চতুর্থ সুসংবাদ, পঞ্চম সুসংবাদ হল যে, এই মাসেই শবে কদর নামে এমন এক মহান রাত্রি রয়েছে, যেই মাসের ইবাদত হাজার মাসের এবাদত অপেক্ষা উৎকৃষ্ট। ষষ্ঠ সুসংবাদ হইল যে, ‘মান কামা ঈমানান ওয়া ইহতিসাবান গুফিরালাহু মা তাকাদ্দামা মিন জামবিহী’। অর্থাৎ যে ব্যক্তি ভক্তিসহ এবং সুফল প্রাপ্তির আশায় শবে কদরের রাত্রি জাগরণ করে, তাহার পূর্বকৃত গুনাহ মাফ করা হইবে। এতে বুঝা গেল রমজান মাস ও রমজানের রোজা আমাদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত এই নিয়ামত হেলায় খেলায় হারাইবেন না। আসুন! আমরা এক মনে এক ধ্যানে রমজানের মহান নিয়ামত হাসিল করিয়া আল্লাহর দিদার ও স্বয়ং মহান প্রভুর হাতে পুরস্কার গ্রহণ করি।
ালহাজ্ব হাফেজ মাওলানা ওবায়দুল হক সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে আরো ওয়াজ করেন পীর সাহেব সফরসঙ্গী আদর্শ ইসলামী মিশন মহিলা কামিল মাদরাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মাহমুদুল হাসান মামুন ও অন্যান্য ওলামায়ে কেরামগণ এবং সুমধুর সুরে কোরআন তেলাওয়াত ও নাতে রাসুল (সা.) এবং মিলাদ পাঠ করেন পীর সাহেবের সফর সঙ্গী হাফেজ মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান।