রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে ফাইনালে ভারত


দুর্দান্ত এক সেমিফাইনাল। শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা। দুই দলের লড়াই চললো অনেকটা সময়। তবে সেই লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলো ভারতই।

দুবাইয়ে রুদ্ধশ্বাস এক লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নাম লিখিয়েছে রোহিত শর্মার দল। ভারত ম্যাচটি জিতেছে ৪ উইকেট আর ১১ বল হাতে রেখে।

লক্ষ্য ছিল ২৬৫ রানের। শুরুটা ভালো করতে পারেননি শুভমান গিল। ৮ রান করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। সেট হয়ে আউট হন রোহিত শর্মাও (২৯ বলে ২৮)। ৪৩ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত।

সেখান থেকে বিরাট কোহলি আর শ্রেয়াস আইয়ার ১১১ বলে ৯১ রানের জুটিতে ম্যাচ অনেকটাই ভারতের হাতে নিয়ে আসেন। অবশেষে আইয়ারকে (৪৫) বোল্ড করে এই জুটিটি ভাঙেন অ্যাডাম জাম্পা। ৩০ বলে ২৭ করে ফেরেন অক্ষর প্যাটেলও।

কিন্তু অভিজ্ঞ কোহলি দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। দেখেশুনে খেলে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে ৪৩তম ওভারে এসে ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন কোহলি। জাম্পাকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ৯৮ বলে কোহলির ৮৪ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে ছিল মাত্র ৫টি বাউন্ডারির মার।

কোহলি আউট হওয়ার পর ভারতকে শেষবারের মতো চেপে ধরে অস্ট্রেলিয়া। লোকেশ রাহুল আর হার্দিক পান্ডিয়াকে হাত খুলে খেলতে দিচ্ছিল না তারা। তবে ৪৭তম ওভারে অ্যাডাম জাম্পাকে শেষ দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ বের করে নিয়ে আসেন হার্দিক।

২৪ বলে ২৮ করে মারকুটে হার্দিক অবশ্য আউট হন। তবে তখন মাত্র জয়ের জন্য ৬ রান দরকার ভারতের। ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেন লোকেশ রাহুল। ৩৪ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

এর আগে স্টিভেন স্মিথ আর অ্যালেক্স ক্যারের জোড়া ফিফটির পরও পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতে তারা অলআউট হয় ২৬৪ রানে।

দুবাইয়ে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। শূন্য করেই সাজঘরের পথ ধরেন দলের সঙ্গে সেমির আগে যোগ দেওয়া কুপার কনোলি।

তবে ভারতের ত্রাস ট্রাভিস হেড মারকুটে শুরু করেছিলেন ঠিকই। ৩৩ বলে ৩৯ করে তিনি হন বিস্ময় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর শিকার। মার্নাস লাবুশেন ২৯ আর জস ইংলিশ ১১ করে সাজঘরের পথ ধরেন।

স্মিথ অবশ্য দায়িত্ব নিয়ে খেলে দলকে দুইশর দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। ৯৬ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৭৩ করে রান করে মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড হন অসি অধিনায়ক।

এর আগে শামির বলে একবার ক্যাচ থেকে, আরেকবার অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়েও স্টাম্প না ভাঙায় বেঁচে গিয়েছিলেন স্মিথ।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এক ছক্কা হাঁকিয়েই ৭ করে অক্ষরের বলে বোল্ড হন। এরপর হাল ধরেন অ্যালেক্স ক্যারে। রানআউটের ফাঁদে পড়ার আগে ৫৭ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে দিয়ে যান তিনি। ক্যারের ইনিংসে ছিল ৮টি চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা।

ভারতের মোহাম্মদ শামি ৩টি এবং বরুণ চক্রবর্তী আর রবীন্দ্র জাদেজা নেন দুটি করে উইকেট।

এমএমআর/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।



Source link

Exit mobile version