
রমজানকে কেন্দ্র করে বরিশালের বাজারেও বেশ কিছু নিত্যপণ্যের বাড়তি দামে সাধারণ ভোক্তাদের দুর্ভোগ বাড়ছে। বেগুন থেকে শুরু করে রোজার মাসে বাড়তি চাহিদার কিছু সবজির সাথে ভোজ্যতেলের বাজার আবার অস্থির।
তবে এবার সবজির বাড়তি উৎপাদনে বাজারে সরবরাহ ঘাটতি না থাকায় মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা অন্য বছরের তুলনায় কম হলেও সাধারণ মানুষের সমস্যার শেষ নেই। ইফতারির বাজারেও ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব ফেললেও কিছু ইফতার পণ্যের মূল্য গত বছরের প্রায় সমান রয়েছে।
রমজানের শুরুর দিনই বরিশালের বাজারে ৩০ টাকার বেগুন ৮০ টাকা ছুঁয়েছে। গত বছর প্রথম রমজানে অবশ্য এ কৃষিপণ্যের দাম ১২০ টাকা ছুঁয়েছিল। গত বছর এদিনে ১০০ টাকা কেজির টমেটো এবার ৪০ টাকায়ই সীমিত রয়েছে। তবে গত ৩ দিনে দেশীয় পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা ছুঁয়েছে। বিদেশি পেঁয়াজও কেজিতে ৩ টাকা বেড়েছে। গোল আলুও কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে খুচরা পর্যায়ে ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে গত দুদিন।
তবে ভোজ্যতেল নিয়ে অস্থিরতার শেষ নেই। বরিশালের বাজারেও গত কয়েকদিন ধরে সয়াবিন তেলের সরবরাহ ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭০-১৮০ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। রমজানে ভোজ্যতেলের বাড়তি চাহিদার সুযোগে মিল মালিকরা এ পণ্যটিকে জিম্মি করে বাড়তি ফায়দা লুটছে বলে অভিযোগ উঠলেও এ বিষয়ে কোনো প্রশাসনিক পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরও নিশ্চুপ ছিল রবিবার পর্যন্ত। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের সাথে ক্ষোভও বাড়ছে।