যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছে

রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেনে সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর ফলে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইরত ইউক্রেন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

 

হোয়াইট হাউসের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্কিন প্রশাসন সামরিক সহায়তা বন্ধ রেখে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের সাহায্য স্থগিত করেছি এবং পর্যালোচনা করছি যাতে এই সহায়তা সংঘাতের সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।” গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ও জেলেনস্কির বাকবিতণ্ডার পরপরই ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তির প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং তাঁর অংশীদারদেরও সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই এই সহায়তা প্রকৃতপক্ষে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখুক, কেবল যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্যই নয়।” তবে এ বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় কোনো মন্তব্য করেনি।

 

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় সামরিক হামলা শুরু করে। তখন থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ ছিল। এই সহায়তার ওপর ইউক্রেনের সামরিক প্রতিরক্ষা অনেকাংশে নির্ভরশীল। কিন্তু হঠাৎ এই সহায়তা স্থগিত হওয়ায় যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।

 

যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ যুদ্ধ পরিকল্পনার ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি রাশিয়ার জন্য সুবিধাজনক হতে পারে এবং ইউক্রেনের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করতে পারে। এখন দেখার বিষয়, ইউক্রেন নিজস্ব প্রতিরক্ষা পরিকল্পনায় কী পরিবর্তন আনে এবং আন্তর্জাতিক মহল কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। তথ্যসূত্র : বিবিসি, সিএনএন, আল-জাজিরা

Source link

Exit mobile version