
যশোরের রমজান ঘিরে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি ও কৃত্রিম সঙ্কট ঠেকাতে নিয়মিত বাজার তদারকিসহ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা টাস্কফোর্স কমিটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রমজানকে ঘিরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই যশোরে বাজার তদারকি করছে প্রশাসন। রমজানে পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ঠেকাতে ও যাতে দাম বেশি না নেওয়া হয় এজন্য মাঠে রয়েছে প্রশাসন।
ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর জানিয়েছে, আসন্ন রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অযৌক্তিকভাবে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করলে, কৃষিপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের সময় ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ, উপস্থাপন ও সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ ও কৃষি বিপণন বিধিমালা ২০২১ এর বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, রমজান ও ঈদুল ফিতরে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে জেলা টাস্কফোর্স কমিটি কঠোর অবস্থানে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘পণ্য উৎপাদনের পর খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছাতে পণ্যের দ্বিগুণ দাম বৃদ্ধি পেয়ে যায়। এর প্রধান কারণ সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি। তাই সরবরাহ লাইনে কেউ সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি করলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। দ্রব্যমূল্যের দাম সহনশীল রাখতে বাজার মনিটরিংয়ের সঙ্গে ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। গোডাউনে পণ্য গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টিকারী ব্যবসায়ীদের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পণ্যের ভেজাল বা কৃত্রিম রঙ ব্যবহারের কঠোর থাকবে জেলা প্রশাসন। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে কাপড়, প্রসাধনী ও বিদেশী পণ্য ঢোকার ক্ষেত্রে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থাও তৎপর থাকবে।
জেলা কৃষি বিপণন সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা কিশোর কুমার সাহা জানিয়েছেন, রমজানে অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি ও কৃত্রিম সঙ্কট ঠেকাতে নিয়মিত বাজার তদারকিসহ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।