মোহামেডানের পর দ্বিতীয় সেরা কোন দল?

তারার মেলা বসিয়ে এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে কাগজে-কলমে এক নম্বর দল মোহামেডান। শিরোপার অন্যতম দাবিদারও এবার সাদা-কালোরা। প্রশ্ন উঠেছে, মাঠের লড়াইয়ে ‘পঞ্চপাণ্ডবদের’ তিনজন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহদের দল মোহামেডানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার মতো দল কারা?
অনেকের মত, মোহামেডানের মত ওত তারার মেলা না বসলেও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ভালো দল। টপঅর্ডার ব্যাটিং থেকে শুরু করে পেস ও স্পিন বিভাগে সমান সমৃদ্ধ ও গোছানো।
তানজিদ তামিম, সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, আফিফ হোসেন ধ্রুব, জাকের আলী অনিক, আকবর আলী, শেখ মেহেদী, তানজিম সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও তানভির ইসলামের মতো তরুণ মেধাবী ও কার্যকর পারফর্মারে সাজানো রূপগঞ্জ এক ঝাঁক টগবগে তরুণের দল। এই তরুণরা জ্বলে উঠতে পারলে যেকোনো দলের ভীত কাঁপিয়ে দিতে পারে। দলটির কোচিং স্টাফে আছেন জাতীয় দলের দুই সাবেক ক্রিকেটার তুষার ইমরান ও নাজমুল ইসলাম।
কাগজে-কলমে রূপগঞ্জের পরই আছে দুই দল; আবাহনী ও প্রাইম ব্যাংক।
এবার দলবদলে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আবাহনী। নিয়মিত একাদশের অন্তত ৮ থেকে ১০ শীর্ষ ও অপরিহার্য ক্রিকেটার চলে গেছে। শক্তিও কমেছে। তারপরও শেষ পর্যন্ত আবাহনীর লাইনআপ খুব খারাপ না। নাজমুল হোসেন শান্ত, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল আছেন। এছাড়াও নতুন সংযোজন পারভেজ ইমন, জিসান আলম, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, নাহিদ রানা, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, রিপন মণ্ডল।
এসব পারফর্মারে সাজানো দল আবাহনীকে অবহেলার কিছু নেই। জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার ও সাবেক নির্বাচক হান্নান সরকার এবার আবাহনীর কোচ। সব মিলে দলবদলে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রতিপক্ষ হিসেবে আবাহনী চ্যালেঞ্জিং।
প্রাইম ব্যাংকও পিছিয়ে নেই। সাব্বির হোসেন, নাইম শেখ, জাকির হাসান, শামীম পাটোয়ারী, সাহাদাত হোসেন দিপু, ইরফান শুক্কুর, রিশাদ হোসেন, হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদ, আরাফাত সানি ও নাজমুল অপুর মতো এক ঝাঁক প্রতিভাবান ক্রিকেটারে সাজানো এবার প্রাইম ব্যাংক। তারুণ্যনির্ভর দলটির কোচ তালহা জুবায়ের। তার কোচিংয়ে প্রাইম ব্যাংক হয়ে উঠতে পারে যেকোনো দলের মাথাব্যথার কারণ। এরপর মোহাম্মদ আশরাফুলের দল ধানমন্ডি ক্লাব আর অগ্রণী ব্যাংকও মাঝারী শক্তির দল।
দেশের ক্রিকেটের নামী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দীন এবার নেই। তিনি জাতীয় দলের প্রধান সহকারি কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। একইভাবে টাইগার্সের হেড কোচ সোহেল ইসলামও নেই এবার কোনো ক্লাবে।
বলে রাখা ভালো, সালাউদ্দীন গাজী গ্রুপের কোচিংয়ের পর গত ২ বছর প্রাইম ব্যাংকের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। মোহামেডানে টানা ৩-৪ বছর কোচিং করানোর পর সোহেল ইসলাম ছিলেন গত ৩ বছর ছিলেন শেখ জামাল (এখনকার ধানমন্ডি ক্লাবের) প্রশিক্ষক।
ওদিকে আরেক জনপ্রিয় ও সফল কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন এক যুগ পর এবার আর আবাহনীতে নেই। সুজনের দল এবার গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। তামিম ইকবাল ও ফরচুন বরিশাল মালিক মিজানুর রহমানের অর্থায়নে পরিচালিত গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের হেড কোচ অভিজ্ঞ সুজন। দেখা যাক, কার দল কতদুর যায়।
এআরবি/এমএইচ/