মেঘনা নদীতে হত্যাকাণ্ডে নিহত নৌযান শ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন মেঘনা নদীতে হত্যাকা-ে নিহত ছয়জন নৌযান শ্রমিকের প্রত্যেক পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে ৩০ লাখ টাকার আর্থিক সহযোগিতার চেক প্রদান করেছেন। গত বছর ২৩ ডিসেম্বর চাঁদপুর হাইমচর উপজেলায় মেঘনা নদীতে এম ভি আল-বাখেরা নামক সারবাহী নৌযানে সংঘটিত হত্যাকা-ে ছয়জন নৌযান শ্রমিক নিহত হন।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিহত নৌযান শ্রমিকদের প্রত্যেক পরিবারকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে ২ লাখ টাকা এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টার বিশেষ উদ্যোগে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া গ্রুপ থেকে ৩ লাখ টাকাসহ মোট ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন। উপদেষ্টা বলেন, এম ভি আল-বাখেরা সারবাহী নৌযানে সংঘটিত হত্যাকা- অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এটিকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। তিনি নির্মম এ হত্যাকা-ে নিহত শ্রমিকের প্রত্যেক পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে উপযুক্ত ব্যক্তিকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের নির্দেশনাও প্রদান করেন। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে নৌপথে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, মাদার ভেসেল হতে পণ্য খালাস ও পরিবহনের ক্ষেত্রে বর্তমানে লাইটার জাহাজের কোনো সংকট নেই। কিছু আমদানিকারক লাইটার জাহাজগুলোকে ভাসমান গুদাম বা ফ্লোটিং ওয়ার হাউস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং বিআইডব্লিউটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেটরা গত মাসের ১৯ তারিখ থেকে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেককে জরিমানা করা হয়েছে। কোথাও পণ্য মজুতের সুযোগ নেই। বিষয়টি আমরা কঠোরভাবে দেখছি। পর্যাপ্ত পরিমাণে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী আমদানি হচ্ছে। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। ভোজ্যতেলের বিষয়টিও সরকার গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। পণ্য সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। নিহত নৌযান শ্রমিকেরা হলেন, মাগুরার মহম্মদপুরের দাউদ হোসেনের ছেলে সজিবুল ইসলাম ও মো. আনিচ মিয়ার ছেলে মো. মাজিদুল ইসলাম, নড়াইল লোহাগড়ার মো. আবেদ মোল্ল্যার ছেলে মো. সালাউদ্দিন মিয়া ও মজিবর মুন্সীর ছেলে আমিনুর মুন্সী এবং ফরিদপুর সদরের মো. আতাউর রহমানের ছেলে শেখ সবুজ ও মো. আনিসুর রহমানের ছেলে মো. কিবরিয়া।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।