মৃত্যুদণ্ডদেশের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি পেলেন আজহার

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদ-াদেশের বিরুদ্ধে পুন:আপিল শুনানির অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে পঁাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগীয় বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামি ২২ এপ্রিল শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
আওয়ামী আমলে অনুষ্ঠিত ‘একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ’ মামলায় এটি ছিলো প্রথম রিভিউ পিটিশন যেটি শুনানি শেষে আপিল বিভাগ পুন: আপিল শুনানির অনুমতি দিলেন। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী গতকাল সকাল পৌনে ১১টায় দ্বিতীয় দিনের মতো আজাহারের পক্ষে রিভিউ পিটিশনের শুনানি হয়। শুনানি করেছেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী। তার সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন, অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম শুনানিতে অংশ নেন।
আদেশের বিষয়ে আইনজীবীরা বলেনম ৪টি গ্রাউন্ডে আপিল বিভাগ রিভিউ মঞ্জুর করেছেন। সেইসঙ্গে আদালত মূল আপিল শুনানির জন্য আগামী ২২ এপ্রিল তারিখ ধার্য করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদ-ের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের প্রথম দিনের শুনানি হয়। শুনানি গতকাল বুধবার পর্যন্ত মুলতবি ছিলো।
প্রসঙ্গত: ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেন তৎকালিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রায়ে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরণের ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন আজহার। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদন্ড দেন। যদিও এটি ‘প্রহসনের রায়’ বলে আখ্যায়িত করে আসছে জামায়াতে ইসলামী।
২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ১১৩ যুক্তিতে আজহারকে ‘নির্দোষ’ দাবি করে খালাস চেয়ে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৯০ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ২৩৪০ পৃষ্ঠার আপিল দাখিল করা হয়। আপিলেও তার মৃত্যুদ- বহাল রাখেন হাসিনা অনুগত আপিল বিভাগ। পরে তার পক্ষে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন আইনজীবীরা। সেটির শুনানি শেষে উপরোক্ত আদেশ দিলেন বর্তমান আপিল বিভাগ।