
সেনা সমর্থিত ওয়ান ইলেভেন সরকারের আমলে রাজধানীর গুলশান থানায় দায়েরকৃত চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও শরীয়তপুর-৩ (গোসাইরহাট-ডামুড্যা-ভেদরগঞ্জ) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপু।
আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মেহেদী হাসানের আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, রাজধানীর আল-আমিন কনস্ট্রাকশনের চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ ভূঁইয়া ওয়ান ইলেভেনের কথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার একান্ত সহকারী মিয়া নূর উদ্দিন অপুকে আসামি করে ১ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন।
দ্রুত বিচার আইনে গুলশান থানায় ২০০৭ সালের ৮ মার্চ একটি মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তারেক রহমানকে। ২০১৪ সালের ১৩ জুন আত্মসমর্পণ করলে ২৩ মাস বেআইনিভাবে জেল খেটেছেন মিয়া নূর উদ্দিন আহমেদ অপু। ইতিপূর্বে তারেক রহমান এই মামলায় খালাস পেয়েছেন। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) অপুকে খালাস দেওয়া হলো।
আদালতে মিয়া নূর উদ্দিন আহমেদ অপুর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ মঈনুল হাসান লিপন। তিনি জানান, ওয়ান ইলেভেনের সময় সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিলো তারেক রহমান ও মিয়া নূর উদ্দিন অপুর নামে। মাত্র ১ কোটি টাকার হাস্যকর বানোয়াট মামলা দিয়ে তারেক রহমানকে বিনা অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছিল । সম্প্রতি এই ভূয়া মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খালাস পেয়েছেন। সার্বিক বিবেচনায় আদালত মঙ্গলবার মিয়া নূর উদ্দিন আহমেদ অপুকে এই মিথ্যা মামলা থেকে চূড়ান্ত অব্যাহতি দিয়েছেন।
এর আগে, আওয়ামী স্বৈরশাসন আমলে প্রদত্ত প্রতিহিংসামূলক মানিলন্ডারিংয়ের মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত সচিব, ছাত্রদলের সাবেক নেতা, শরীয়তপুর-৩ (গোসাইরহাট-ডামুড্যা-ভেদরগঞ্জ) আসনের ধানের শীষের জনপ্রিয় প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু। ২৭ জানুয়ারি জেলা জজ আদালতের বিশেষ জজ রেজাউল করিম তাকে খালাসের আদেশ দেন।