মার্চ ফর খেলাফত আন্দোলনের নামে নাশকতকারী ১৭ সদস্য রিমান্ডে

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের প্রধান সংগঠক সাইফুল ইসলাম ৩৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া গত শুক্রবার বায়তুল মোকারম এলাকায় মার্চ ফর খেলাফতের মিছিল থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ ও নাশকতার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ১৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমা-ে এনেছে পুলিশ। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে থেকে গতকাল পর্যন্ত থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাওহীরের প্রধান সংগঠকসহ ৩৬ জন গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমের বরাত দিয়ে গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত শুক্রবারের হিযবুত তাহরীরের সমাবেশের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অনেক সদস্যকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য তাদের গ্রেফতার করা হবে। ইতিমধ্যে এই গোষ্ঠীর সদস্যদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
অপরদিকে রাজধানীর পল্টন মোড় এলাকায় মার্চ ফর খেলাফতের মিছিল থেকে গ্রেফতারকৃত হিযবুত তাহরীরের ১৭ সদস্যকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল শনিবার বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক মো. নূর ইসলাম। এসময় আসামিপক্ষ থেকে জামিন চাওয়া হয়। উভপক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমানের আদালত আসামিদের প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার দুপুরে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে অজ্ঞাতনামা দু’হাজারের অধিক ব্যক্তি মার্চ ফর খেলাফত, হিযবুত তাহরীর, উলাইয়াহ্ বাংলাদেশ ব্যানারে মিছিল বের করে। তারা পল্টন মোড়ের দিকে যেতে থাকলে পুলিশ বাধা দেয়। আসামিরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে পল্টন মডেল থানাধীন পল্টন মোড় এল মল্লিকের সামনে সরকারবিরোধী, দেশের ‘সার্বভৌমত্বকে আঘাত করার প্রয়াসে পতাকা, ব্যানার, লাঠিসোঁটা নিয়ে স্লোগান দিয়ে মিছিল করতে থাকে। তখন পল্টন মোড় এলাকায় ডিউটিরত পুলিশ বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের প্রতি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ জান-মাল রক্ষার্থে অবৈধ মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে গ্যাসগান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। তবুও নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ অব্যাহত রাখে। এরপর আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থলে তাদের ব্যবহৃত পতাকা, স্লোগান ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়, তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীর সক্রিয় সদস্য ও সমর্থক। এ ঘটনায় পল্টন থানায় উপপরিদর্শক রাসেল মিয়া বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন।
রিমান্ড প্রাপ্তরা হলেন-আব্দুল্লাহ, তরিকুল ইসলাম, আহমেদ নাফিজ মোর্শেদ, মো. শাহাদাত হোসেন, তানভির মাহতাব রাফাত, মোহাম্মদ আবু শোহাইব, আশফাক আহম্মেদ, সাব্বির হোসাইন ওরফে জিউন, মো. রিফাত ইসলাম রশিদ, মো. আল রাফি সাজ্জাদ, রেদোয়ান বিন শহিদুল, মিয়াজী আব্দুল্লাহ আল মুত্তাকী, হাবিবুর রহমান, মো. হেলাল উদ্দিন, আসাদুজ্জামান নূর, তানিম শিকদার শিহাব ও আহমেদ নাসিফ কবির কাব্য।