মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিল নিকারাগুয়া

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্ট দানিয়েল ওর্তেগার সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানোর পর বৈশ্বিক সংস্থাটির মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নিকারাগুয়া।
বৃহস্পতিবার মধ্য আমেরিকার এ দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি রোজারিও মুরিলো তাদের এ সিদ্ধান্তকে ‘সার্বভৌম ও অপরিবর্তনীয়’ অ্যাখ্যা দিয়ে বলেন, নিকারাগুয়া এখন থেকে মানবাধিকার কাউন্সিল এবং এর ‘সহযোগী কার্যক্রমের’ কিছুতেই আর অংশ নেবে না।
এর আগে বুধবার জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে ওর্তেগা ও মুরেলা বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছিল, তারা তাদের দেশকে এমন এক কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন, যেখানে স্বাধীন কোনো প্রতিষ্ঠান আর টিকে নেই।
ওর্তেগার সরকার এর আগেও জাতিসংঘ ও আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসের (ওএএস) একাধিক প্রতিবেদন উপেক্ষা করেছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মানবাধিকার লঙ্ঘন বিবেচনায় নিয়ে লাতিন আমেরিকার দেশটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা আগেও আহ্বান জানিয়েছিলেন।
মুরিলো জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যাচার’ ও ‘অপবাদ’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
নিকারাগুয়ায় ২০১৮ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ওর্তেগা সরকারের দমনপীড়নে ৩৫০ জনের বেশি নিহত হওয়ার পর দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দেয়।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সহিংস দমনপীড়নে নিকারাগুয়ার সেনাবাহিনীও জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে। নিকারাগুয়ার সেনাবাহিনী আগে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।