মাদক বিক্রিতে বাধা, জেল থেকে বেরিয়ে যুবককে কুপিয়ে জখম

ফরিদপুরে মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় রেজাউল সরদার (৪০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে মাদক কারবারিরা। শুক্রবার (৭ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে জেলা সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাদিপুর চৌহাট্টা এলাকা এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী রেজাউল সরদার ওই এলকার আরজু সরদারের ছেলে। মাদক কারবারিদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার বাঁম পায়ে গুরুত্বর জখম হয়। এছাড়া লাঠি তাকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালের দিকে বাড়ির পাশ থেকে কুপিয়ে জখম করে চিহ্নিত মাদক কারবারিরা। এতে একই এলাকার কবির মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান খোকন (৪০) নেতৃত্বে দেন। মাদকদের অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে মাস খানেক আগে জেল থেকে ছাড়া পান খোকন।
এলাকাবাসী জানান, খোকন এলাকায় ‘ইয়াবা খোকন’ নামে পরিচিত। সম্প্রতি তার মাদক ব্যবসায় বাধা সৃষ্টি করেন প্রতিবেশী রেজাউল সরদারসহ এলাকাবাসী। বিষয়টি নিয়ে গত ৬ মাস আগে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দেন। এতে রেজাউলের ওপর ক্ষিপ্ত হন খোকন। অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান।
আহত রেজাউল বলেন, খোকন দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা, গাঁজার ব্যবসা করে আসছেন। তার কারণে আমার ছোট ভাই সেলিমও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। খোকনের বিরুদ্ধে এলাকার লোকজন মিলে এসপি ও ডিসির কাছে অভিযোগ দিলে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরপর শুক্রবার আমাকে একা পেয়ে ৫-৬ জন মিলে মারধর করের এবং রামদা দিয়ে কোপ দেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে কোতোয়ালী থানায় মেহেদী হাসান খোকনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন রেজাউলের স্ত্রী জেসমিন বেগম। আসামিদের অন্যরা হলেন, স্থানীয় ইমতিয়াজ খান, হাসান খান, সেলিম সরদার ও ফারুক হোসেন। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। মামলা হবে এবং জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।
এন কে বি নয়ন/এমএন/এমএস