
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালি ইউনিয়নের শিবপুর ছোট খাল খনন করা ও সেই মাটি অন্যত্র সরিয়ে তা বিক্রি করার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় মেম্বার ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে গত তিন দিন ধরে এই খাল কাটার কাজ করে আসছেন বলে জানান তারা। একইসাথে শিবপুরের এই চিকন খাল কাটা হলে এলাকার আশেপাশের দশ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি হবে। বর্ষায় ফসলি জমি, মাছের ঘের, বসতবাড়িসহ কাচা রাস্তা পানিতে নিমজ্জিত ও প্লাবিত হবার আশংকা করছেন তারা। স্থানীয় জানায়, গত শনিবার ভেকু মেশিন দিয়ে খালের মাটি কাটার সময় এলাকাবাসীর আপত্তির মুখে ভেকুর চালক ভেকু রেখে চলে যায়।
স্থানীয়রা, শিবপুর গ্রামে মাঠের কাঁচা রাস্তা ঘেঁষে চিকন পারুয়ারকুল নামে একটি খাল রয়েছে। সেখানে ভেকুদিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। খাল থেকে গভীর করে কাটা হচ্ছে মাটি। ওই মাটি খালের পাড়ে না দিয়ে অন্য সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে বর্ষাকালে রাস্তা ধসে যাওয়া ও ফসলি জমি সহ মাছের ঘের ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একইসাথে পানিতে প্লাবিত হবার আশংকা রয়েছে এলাকার ফসলি জমি ও খালের পাশে থাকা মাছের ঘের। এতে কৃষকের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হবার আশংকা করছেন এলাকাবাসী। এবিষয়ে অতি দ্রুত এই খাল খনন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এদিকে খাল কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে বাবুখালি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন এই প্রতিবেদককে জানান, তিনি পরিষদের পক্ষ থেকে কাবিটা প্রকল্পের ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকার একটি বরাদ্দ পেয়েছেন। প্রকল্পটির আওতায় শিবপুর গোবিন্দর বাড়ি থেকে পারুয়ারকুল খাল থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। খালের মাটি সরিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এলাকার লোকের পরামর্শ নিয়েই সেখানে মাটি কাটা হচ্ছে বলেও দাবি করেন ইসমাইল হোসেন।
তবে শিবপুর গ্রামের অধিকাংশ লোকই মনে করছেন এতকাল খাল খনন করা হয়নি। মেম্বার তার নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে খাল থেকে মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করছে। এতে করে এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছেন। খাল কাটার ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এলাকার আশেপাশের কয়েকশ সাধারণ কৃষক। তাই প্রকল্প সরিয়ে নিয়ে অতি দ্রুত এই খাল কাটা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে যোগাযোগের জন্য মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাম্বারে কয়েক দফায় কল দিলে কল রিসিভ হয়নি।